আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো ৩ প্রতারক।শেষে ১/২ বছর পেরিয়ে গেলেও চাকুরী প্রত্যাশীরা পাওনা টাকা ফেরত পেতে প্রতারকগণের কাছে ধরনা দিয়ে অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানা হাজীপাড়া গ্রামের আবুল কাদের বাচালুর ছেলে নবীউল ইসলাম (৪০) ঢাকায় সরকারি চাকুরী করার সুবাদে তারই দুলাভাই গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আইনুল হক ও তার সহযোগী চান্দখানা হাজী পাড়া গ্রামের মৃত হেফাজ উদ্দিনের ছেলে আতিবুল ইসলাম (৫২) ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ ইউনিয়নের চড়তিস্তা পাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে আতর আলী (৩১) মিলে এলাকার শিক্ষিত ও সহজ সরল বেকার ছেলেদের সরকারি চাকুরী দেয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনেককে সর্বশান্ত করেছে।
উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব আমবাড়ী গ্রামের মৃত আতাব উদ্দিনের ছেলে শাহাজান আলী বলেন, তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে জুয়েল ইসলামকে সরকারি চাকুরী পাইয়ে দেয়ার জন্য আইনুল, আতিবুল ও আতর আলীর সাথে ৫লক্ষ টাকা চুক্তি করে। তাদের মধ্যে গত ২৫/১১/২০১৭ তারিখে ২লক্ষ ৪০হাজার টাকা প্রদান করে। তার ছেলে জুয়েলকে ইন্টারভিউ দেয়ার নাম করে বেশ কয়েক বার ঢাকা নিয়ে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করায়। শেষে চাকুরী না হওয়ায় ২বছর পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছে। এ বিষয়ে মামলা করবে বলে তারা জানান।
অপরদিকে, জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে আসমাউর রহমান কে ১৫দিনের মধ্যে চাকুরী দেয়ার নাম করে সরকারি কর্মকর্তা নবীউল ও তার দুলাভাই আইনুল গত ২৪/০৮/২০১৭ তারিখে ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিগত ১বছর পেরিয়ে গেলেও চাকুরী না হওয়ায় আংশিক টাকা ফেরত দেয়।
চাকুরী প্রত্যাশী আসমাউর রহমান বলেন, ১৫দিনের মধ্যে চাকুরী দিবে তাই, সেই আশায় আমি ভাল কলেজে ভর্তি না হয়ে মিরজাগঞ্জ কলেজে ভর্তি হই। ওই প্রতারকরা আমার ভবিষ্যত নষ্ট করে দিলো। ছাত্রের জীবন নষ্ট করার কারণে তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে প্রতারক নবীউকে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আরেক প্রতারক তার দুলাভাই আইনুল বলেন, চেষ্টা করেছি চাকুরী হয়নি, টাকা ফেতে দিয়েছি আর অল্প কিছু পাবে। প্রতারকগণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।