ঝিনাইদহ প্রতিনিধি>>
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার হাজী আরসাদ আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও জাল-জালিয়াতিসহ ব্যাপক দু-র্নী-তি-র অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এই প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যাণ্ট পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মাজেদুল হক বিভিন্ন দপ্তরে শাস্তির দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন।
নিয়োগপ্রাপ্ত মাজেদুল হক ২০০৬ সালে ২২ অক্টোবর তারিখে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০০৬ সালের ৪ নভেম্বর উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে সুনামের সাথে চাকুরি করে আসছিলেন। কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষ একেএম মোত্তালেব হোসেন ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে রেজুরেশনের উপর নতুন কাগজ মেরে একই তারিখে রোকসানা ইয়াসমীনকে মাজেদুল হকের স্থানে নিয়োগ দেখান । রোকসানা বেগম এবং মাজেদুল হক একই সাথে টাইপিস্ট ও ল্যাব অ্যাসিস্ট্যাণ্ট পদের প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। টাইপিস্ট পদের পরীক্ষার্থী রোকসানা ইয়াসমীনকে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যাণ্ট পদে চাকুরিতে যোগদান দেখিয়ে বেতন ভাতার জন্য কাগজ প্রেরণ করা হলেও মাজেদুল হককে কর্মস্থলে অনুপস্থিত দেখিয়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মাজেদুল হক বলেন,একই সময়ে একজন মানুষ কীভাবে দুই জায়গায় পরীক্ষা দিতে পারে। আমার সাথে অনিয়ম করা হয়েছে।
কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যাণ্ট পদে নিয়োগ প্রাপ্ত রোকসানা ইয়াসমীন বলেন,কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছে সে মোতাবেক চাকুরি করে যাচ্ছি।
তবে অধ্যক্ষ একেএম মোত্তালেব হোসেন বলেন,সব কিছুই বিধি মোতাবেক হয়েছে। মানবিক কারণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাজেদুল হক জাল কাগজ উঠিয়ে বিভিন্ন মহলে দেখিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে সাবেক সভাপতি মসিউর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।