ক্রাইম পেট্রোল ডেস্কঃ সিএমপির চান্দগাঁও থানার অভিযানে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ০৮/১০/২০২০ ইং তারিখ রাত অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় ঘটিকার সময় রাঙ্গুনিয়া থানাধীন গ্রামের বাড়ী হইতে চট্টগ্রাম শহরস্থ বর্তমান ঠিকানার বাসায় উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে রওনা হয়। ভিকটিম ০৮/১০/২০২০ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় সিএনজি অটোরিক্সা হইতে নামিয়া তাহার বর্তমান ঠিকানার বাসার উদ্দেশ্যে রিক্সা ভাড়া করে। ভিকটিম উক্ত রিক্সাযোগে কাপ্তাই রাস্তার মাথা হইতে চকবাজার যাওয়ার পথে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে কতিপয় দুস্কৃতকারী ভিকটিমকে বহনকারী রিক্সাকে পিছন পিছন লক্ষ্য করতে থাকে। দুস্কৃতকারীরা ০৮/১০/২০২০ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুর এলকায় ভিকটিমকে বহনকারী রিক্সা থামিয়ে ভিকটিমকে টেনে হেচড়ে চান্দগাঁও থানাধীন আরকান রোড মৌলভী পুকুর পাড়স্থ জনৈক আনোয়ার সাহেবের ৪র্থ তল বিল্ডিংয়ের ডান পাশের গলিতে নিয়ে ৮/১০ জন মিলে ভিকটিমকে গনধর্ষণ করে। ভিকটিম বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ওসিসি তে চিকিৎসাধীন আছে।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, উক্ত গনধর্ষণের ঘটনায় সিএমপি’র উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম(বার) এর দিঙনির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(উত্তর) নাদিরা নূর, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) শহীদুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান খোন্দকার ও পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) রাজেস বড়ুয়ার নেতৃত্বে চান্দগাঁও থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে গনধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি জাহাঙ্গীর(৩৮), মো. ইউসুফ(৩২), মো. রিপন(২৭), মো. সুজন(২৪), দেবু বড়ুয়া প্রঃ জোবায়ের হোসেন(নও মুসলিম)(৩১), মো. শাহেদ(২৪), রিন্টু দত্ত প্রঃ বিপ্লব(৩০) ও মনোয়ারা বেগম @ লেবুর মা(৫৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানাধীন নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।