মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুর মহানগর দোকান মালিক সমিতি জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট বন্ধ থাকবে। আর এই আহবানে সাড়া দিয়ে কিছু কিছু দোকান মালিক দোকানপাট বন্ধ রাখলেও খুলেছে নগরীর অধিকাংশ দোকানপাট এবং মানা হচ্ছেনা কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
অপর দিকে জেলা দোকান মালিক সমিতির সাবেক ও সফল প্রচার সম্পাদক মোঃ জহির আলম গোলাপ এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিভাবকহীনতায় ভুগছে বর্তমানের এই মহানগর দোকান মালিক কমিটি। কেননা ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে এরকম সিদ্ধান্ত অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিলো বলে আমি মনে করি। এটা তাদের একান্ত মনগড়া আহবান আর নগরবাসীর ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। করোনার মতো ভয়াবহ মহামারিতে যখন সমগ্র বিশ্ব মৃত্যুর মিছিলে মহাতঙ্কিত ও লকডাউন মেনে চলছে এমন পরিস্থিতিতে ব্যর্থ কমিটির সভাপতি জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল রংপুরের সকল মার্কেট খোলার নির্দেশ দিয়ে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি মুখে ফেলেছেন। এখন রংপুরের অনেক ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার করোনায় আক্রান্ত যার দায় মহানগর দোকান মালিক সমিতির। এটি শুধু দোকান মালিক সমিতি নয় বরং রংপুরের সকল কমিটির জন্য লজ্জাজনক। পাশাপাশি এখন ব্যবসায়ী সমিতিগুলোকে ঘৃণার চোখে দেখছে রংপুরবাসী বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, জুয়েল ও জয়নালসহ রংপুর মহানগর দোকান মালিক সমিতির এই কমিটি কোনো নির্বাচিত কমিটি নয়। । এদের একটি চক্র বিভিন্ন সময়ে অফিস আদালতগুলো থেকে স্বার্থ হাসিল করছে মাত্র। শেষ ২০১০ সালের ৭ মে নির্বাচিত কমিটির অভিষেক হয়। যার মেয়াদ পরবর্তী ৩বছর অতিক্রান্তের মধ্যদিয়ে শেষ হয়ে যায়। পরে রংপুর সিটিকর্পোরেশন ঘোষণার প্রক্কালে নানা অস্থিতিশীলতার কারণে নির্বাচন সম্ভব হয়নি। অবশেষ কয়েকজন মিলে কেন্দ্র থেকে একটি কমিটি পাশ করে অদ্যাবধি তাদের মনগড়াভাবে পরিচালনা করছেন। তাই এই কমিটিকে বয়কট করে পুনরায় নির্বাচন না দিলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই অযোগ্য কমিটিকে প্রতিহত করা হবে, এটা রংপুরের ব্যবসায়ী মহলের প্রানের দাবি। কেননা নির্বাচিত কমিটি ছাড়া ব্যবসায়ীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন সম্ভব নয়।