crimepatrol24
২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় দুপুর ১২:৩৮ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ঝিনাইদহে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ২ লাখ ২৭ হাজার চাষি ক্ষতিগ্রস্ত!

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
মে ২৯, ২০২০ ৪:১৪ অপরাহ্ণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার কৃষক আম্পানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় দেড় হাজার হেক্টর কলা, এক হাজার ২৫ হেক্টর শাক শবজি, ১ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর মুগডাল, ২ হাজার ২০ হেক্টরের তিল, সাড়ে ৭’শ হেক্টর মরিচ, এক’শ হেক্টর বোরো ধান, দেড় হাজার হেক্টর পান বরজ, ২ হাজার ৮’শ ৭৫ হেক্টরের আম, ৪১৮ হেক্টরের লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অংকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘুর্ণিঝড় আম্পানে তার দেড় বিঘা জমির পান বুরুজ নষ্ট হয়ে গেছে। বুরুজে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পান ছিল। বিধ্বস্ত পান বুরুজ মেরামত করতে এখন প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে। সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের কলাচাষী কাদের মিয়া বলেন, এ বছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলেন। কয়েকদিন হলো অল্প কিছু কলা বিক্রি করতে পেরেছেন। কলা বিক্রি করে তিনি কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা আয় করতেন। আম্পানের কারণে তার ৩ বিঘা জমির কলাগাছ ভেঙ্গে পড়েছে। মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন বলেন, আম্পানের কারণে তার মাছের খামারগুলো ভেসে গেছে। এছাড়াও তার ১০ বিঘা জমির কলাক্ষেত নষ্ট হয়েছে। মুলধন হারিয়ে এখন পথে বসেছেন তিনি। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে শৈলকুপা উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুলহরি ইউনিয়ন। শুধি এই ইউনিয়ন নয়, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব কৃষকদের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে কৃষকরা একটু হলেও বাঁচতে পারবে। সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, এসব কৃষকদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা যেন করা হয়। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। পানবুরুজ, কলাক্ষেত, আম, লিচুসহ অন্যান্য ফসল যা রয়েছে তা সংরক্ষণ ও বিপণণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের সান্তনা দেওয়া হচ্ছে।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত