মোঃ সাইফুল্লাহ্ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : রংপুর জেলাসহ উপজেলার বিভিন্ন নামি দামি কিণ্ডার গার্টেন ও স্কুলগুলো করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এ কারণে স্কুলগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে কোন বেতন আদায় করতে পারছে না । কেজি স্কুলগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনের উপর নির্ভর করে তাদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য কাজকর্ম করে থাকেন। বেতন আদায় না হওয়ার ফলে মার্চ মাস থেকে শিক্ষক-কর্মচারীগণ বেতন ভাতা থেকে বিরত রয়েছে। অনেক শিক্ষক প্রতিষ্ঠান ঘর ভাড়া পর্যন্ত দিতে পারছে না। ইতোমধ্যেই অনেক শিক্ষক-কর্মচারী পেটের তাগিদে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলায় ৩শ’ ৭০টি কিণ্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী প্লে শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়নরত। সাধারণত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর চেয়ে কেজি স্কুলগুলোর ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করে থাকে।
বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রংপুর মহানগরীর আবুল হোসেন কিণ্ডার গার্টেন স্কুলের পরিচালক জাহিদুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারিতে স্কুল ও শিক্ষকদের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোন আর্থিক প্রণোদনা পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, আর্থিক প্রণোদনা পেলে শিক্ষক-কর্মচারীগণ তাদের পরিবার পরিজনের পাশে দাঁড়াতে পারতো।
রংপুর শিবরাম স্মৃতি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, করোনা মহামারিতে প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষকরা অনেক কষ্টে রয়েছে। অনেক শিক্ষক জীবনের তাগিদে শিক্ষকতার মহান পেশা থেকে সরে গিয়ে অন্য পেশায় যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তিনি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে নর্থ বেঙ্গল কিণ্ডার গার্টেন অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল সোসাইটির যুগ্ম মহাসচিব প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম জানান, স্কুল বন্ধ ও ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন আদায় না হওয়ার কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন যাত্রার মান একেবারে তলানিতে নেমে গেছে। তিনি বলেন, জুন মাসে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা চেয়ে একই কথা বলেন বড়বাড়ি কিণ্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাসেল আহমেদ। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ দুই উৎসব ভালোভাবে করতে পারেনি। অনেক শিক্ষক ধার-দেনা করে সংসার চালাছেন।