মো. আক্তার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। একজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে ৩ জনকে রাতেই আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় হোমনা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদির প্রধানকে রাজাকার বলায় পরবর্তীতে তার ছেলে পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন তাদের ডেকে নিয়ে জানতে চাইলে মারামারির এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান মিরাজ, আবদুল কাদির প্রধান, পৌর কমিশনার কামাল হোসেন, আজিজুল, নয়ন ও মোন্নাফ। এদের মধ্যে পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান মিরাজকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এই ঘটনায় সাবেক বিআরডিবি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মেছবাহ উদ্দিনসহ ১৯ জনের নামোল্লেখ করে কাউন্সিলরের ছেলে মো. কামরুল হাসান বাদি হয়ে বুধবার রাতে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন।
পৌর কাইন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, মোন্নাফ এবং মাসুম বুধবার বিকেলে আমার বাবা ৬ নং পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদির প্রধানকে রাজাকার বলেছে। কেন তারা এমনটি বলল তা জানতেই তাদেরকে আমি আমার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে ডাকি। তারা এলে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর করেছে। তাদের হামলায় আমার বাবা, ছেলে, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান মিরাজসহ অন্যরা আহত হয়েছে।
যুবলীগ নেতা ও সাবেক বিআরডিবি চেয়ারম্যান মেছবাহ উদ্দিন বলেন, কৃষকলীগের আমার এক সমর্থককে পৌর কাউন্সিলরের ছেলেপুলেরা মারধর করেছে। এলাকায় তারা (কাউন্সিলর) এক অরাজকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। শুনেছি এ ঘটনায় আমার নামেও নাকি মামলা করেছে। আমি কাউকে মারধর করি নি।
এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতিকে রাজাকার বলায় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছে। তিন জনকে আটক করা হয়েছে।