crimepatrol24
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ৬:১৯ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

শিক্ষকরা রাস্তায় নামার আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা করা উচিত

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ ১০:০৫ অপরাহ্ণ
শিক্ষকরা রাস্তায় নামার আগেই এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা করা উচিত

 

 

সম্পাদকীয় :

দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি দীর্ঘ দিনের হলেও অদৃশ্য কারণে স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্রের অনুচ্ছেদ ২৩(২) -এ বলা হয়েছে- ‘কোনরূপ বৈষম্য ছাড়া সমান কাজের জন্য প্রত্যেকের সমান বেতন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(খ) এ বলা হয়েছে-‘কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমান বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরীর বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার।’

অনুচ্ছেদ ২০(১) এ বলা হয়েছে-‘কর্ম  হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয় এবং “প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী” এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করিবেন।’

অনুচ্ছেদ ১৫(ক) এ বলা হয়েছে-‘অন্ন , বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষাও চিকিৎসাসহ জীবন ধারনের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা; অনুচ্ছেদ ১৭(ক) এ বলা হয়েছে-রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য; (খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ  করার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত  ও সদিচ্ছাপ্রনোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য; (গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

এমতাবস্থায়, এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য দূর করা হবে এবং দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষ এর সুবিধা ভোগ করবে এমন আশায় বুক বেঁধে অধীর আগ্রহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ঘোষণার অপেক্ষায় দিন গুনছেন শিক্ষকসমাজ। দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি করে আসছেন। আসলে তাদের এ দাবি কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখা জরুরি। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের শিক্ষাগতযোগ্যতা, শিক্ষাক্রম ও কর্মঘণ্টাসহ অন্যান্য দায়-দায়িত্ব একই রকম হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পাহাড়সম বৈষম্যের শিকার। সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান বৈষম্যগুলো হলো- সরকারি শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া পান মূলবেতনের ৪০-৫০% আর এমপিওভুক্ত বে শিক্ষকরা পান মাত্র ১ হাজার টাকা, সরকারি শিক্ষকরা মূলবেতনের সমপরিমাণ দু’টি উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মূলবেতনের ২৫%, সরকারি শিক্ষকরা চিকিৎসা ভাতা পান ১ হাজার ৫শ’ টাকা আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মাত্র ৫শ’ টাকা। এছাড়াও, সরকারি শিক্ষকদের রয়েছে বদলি, পদোন্নতি ও পেনশন সুবিধা। অথচ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত। চাকরি শেষে এককালীন সুবিধা পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হয়ে অনেক শিক্ষক রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় এবং পরিবার-পরিজনকে নিয়ে নাখেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হচ্ছে। একজন বেসরকারি শিক্ষক সামাজকিতা রক্ষা করতেও ব্যর্থ হন।পরিবার -পরিজনের ন্যূনতম চাহিদাটুকুও পূরণ করতে না পারায় তাকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।অথচ বেসরকারি শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের সমযোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে সমপরিমান কাজ করলেও আর্থিকভাবে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এটা চলতে পারে না। তাছাড়া দেশের প্রায় ৯৭ ভাগ শিক্ষকই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত । এসব প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর বাকি ৩ ভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেও আসন থাকে সীমিত। সে কারণে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে অতি মেধাবী স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবশিষ্ট স্বল্পমেধাসম্পন্ন ও প্রায় মেধাশূন্য শিক্ষার্থীদের ঠাঁই হয় দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মহান দায়িত্বটুকু গ্রহণ করেন দেশের অবহেলিত বেসরকারি শিক্ষক সমাজ।বেসরকারি শিক্ষকদের অবহেলিত রেখে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে জাতীয়করণ করা হলে সরকারের খরচও তেমন হবে না।  শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে এদেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষ, শতভাগ সফল হবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, উজ্জ্বল হবে সরকারের ভাবমূর্তি, বাস্তবায়ন হবে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন।  তাই মানুষ গড়ার কারিগর নামক শিক্ষকরা রাস্তায় নামের আগেই শিক্ষার মানোন্নয়ন, জনস্বার্থ ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য দূর করা অতীব জরুরি। আর এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ হলে এটি হবে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা।

 

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

কেএমপি’র অভিযানে মাদকসহ ৪ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

কেএমপি’র অভিযানে মাদকসহ ৪ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

হোমনা পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে রাস্তায়, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ছড়াচ্ছে রোগ-ব্যধি!

চসিক নির্বাচন নিয়ে যে আশঙ্কা ছিল তাই সত্যি হয়েছে : মাহবুব তালুকদার

রংপুর মেডিকেল থেকে আরও ৬ দালাল গ্রেফতার

ক্লুলেস ছিনতাই মামলার তথ্য উদঘাটন করল বগুড়া সিআইডি, মূল আসামী গ্রেফতার

পঞ্চগড়ে মৃত অবস্থায় বিরল প্রজাতির একটি নীলগাই উদ্ধার

আইজিপিকে র‌্যাংক ব্যাজ পরালেন প্রধানমন্ত্রী

আইজিপিকে র‌্যাংক ব্যাজ পরালেন প্রধানমন্ত্রী

হোমনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২ জনকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ঝিনাইদহে সমুদ্র পথে মানব পাচারের মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে ফসল সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে ফসল সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবেঃ প্রধানমন্ত্রী