crimepatrol24
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ২:৪৫ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থমন্ত্রীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের চিঠি

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জুন ১৩, ২০২০ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম: ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ১১৩ কোটি টাকা (বাজেটের .০২%) বরাদ্দ চেয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। দলের চেয়ারম্যান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন কর্তৃক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের কল্যাণে কাজ করে। দেশের জন্য সর্বস্তরে নেতৃত্ব সৃষ্টিসহ সরকারের নানা ত্রুটি- বিচ্যুতি তুলে ধরে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে দেশ পরিচালনায় সরকারকে সহযোগিতা করে যার সুফল জনগণ ভোগ করে। এজন্য তাদেরকে নানান ধরণের কর্মসূচি বা গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হয়, যার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। ক্ষমতায় না থাকা দলগুলি বছরের পর বছর আর্থিক সংকটে থাকায় দেশের কল্যাণে প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে না। ফলে দেশকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে দলগুলো ব্যর্থ হচ্ছে। দলগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে বাজেটের .০২% বরাদ্দ রাখতে হবে। ই-মেইলে প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বা এনজিওদের জন্য সরকারের আর্থিক সহায়তা থাকে। দেশের বৃহৎ স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে আর্থিক অনুদান আবশ্যক। নির্বাচন কমিশনে প্রতি বছর দলগুলোর জন্য আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রদান বাধ্যতামূলক। অর্থ প্রদান না করে হিসাব গ্রহণ সমীচীন নয়। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের উচিত দলগুলোর জন্য বরাদ্দের ব্যবস্থা রেখে জবাবদিহিতা আদায় করা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সরকারি বরাদ্দ থাকে। বাংলাদেশেও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বরাদ্দের প্রচলন করার আহবান জানিয়েছে দেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেস। চিঠিতে কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, সমুদয় অর্থ সমানাংশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বন্টন করতে হবে। ১০টি শর্তপূরণ সাপেক্ষে তিনি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে উক্ত অর্থ বরাদ্দের আহবান জানান। প্রথমতঃ উক্ত দলকে নাশকতামূলক বা জনস্বার্থ বিরোধী কোন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে, যদিও একক ব্যক্তির কোন কর্মকান্ড দলীয় কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে না। দ্বিতীয়তঃ সরকারকে পরামর্শ প্রদান বা গঠনমূলক করে বছরে দশটি দলীয় কর্মসূচি থাকতে হবে। তৃতীয়তঃ দলীয় প্রতীকে জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বছরে অন্ততঃ দশজন প্রার্থী থাকতে হবে। চতুর্থতঃ তিনি বলেন, যদি কোন দলের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত বছরে দশটি কর্মসূচি না থাকে এবং পঞ্চমতঃ কেন্দ্রীয়সহ সারা দেশে দশটি জেলা ও পঞ্চাশটি উপজেলা কার্যালয় ও কমিটি না থাকে তাহলে উক্ত দল এই বরাদ্দের আওতায় আসবে না। কাজী রেজাউল হোসেন আরও বলেন, সরকারি বরাদ্দ পেতে হলে কেন্দ্রীয় উদ্যোগে প্রতিবছর দলগুলোকে কমপক্ষে দশটি দলীয় সফর রাখতে হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বরাদ্দের দশ শতাংশ ব্যয় করতে হবে। তিনি বলেন, দলীয় কর্মীদের নৈতিক মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দলগুলিকে প্রতি বছর অন্ততঃ দশটি কর্মশালার আয়োজন করতে হবে এবং অর্থবছর শেষে নির্বাচন কমিশন বরাবর এই অর্থ ব্যয়ের হিসাব প্রদান করতে হবে। এই শর্তসমুহ পূরণে ব্যর্থ হলে যে কোন দলের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ রাষ্ট্র বরাবর বাতিল করা যাবে মর্মে মতামত প্রদান করেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও সব নিবনন্ধিত রাজনৈতিক দলকে উক্ত চিঠির অনুলিপি প্রেরণ করা হয়।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত