
মো: সাইফুল্লাহ খাঁন,জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : ২৫ জুলাই শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আরপিএমপি গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালা করা হয়েছে। এসময় উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আবু মারুফ হোসেন এর নির্দেশে এবং তার উপস্থিতিতে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আলতাফ হোসেন এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা শাখার অফিসার ও ফোর্স বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে একযোগে রংপুর শহরস্থ ধাপ জেলরোড এলাকার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে মা-বাবা হাসপাতালে রংপুর সিভিল সার্জন অফিসের কোন অনুমোদন মিলেনি। বিভিন্ন ডাক্তারদের নামে চিকিৎসাপত্র (প্যাড) থাকলেও কোন ডাক্তার নেই। ডাঃ রওশন ৬ মাস পুর্বে মৃত্যুবরণ করলেও তার নামীয় চিকিৎসা পত্র (প্যাড) পাওয়া যায়। ফলে উক্ত হাসপাতালের মালিক মো. খলিলুর রহমান সোহেল’কে গ্রেফতার করা হয়। সেইসাথে ২০হাজার টাকা জরিমানা ও ১ মাসের জেল, অনাদায়ে আরও ১ মাসের জেল এবং হাসপাতালটি সিলগালা করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর রংপুর স্পেশালাইড হসপিটালে সিভিল সার্জনের নিষেধাজ্ঞা ও অনুমোদন অপেক্ষামান থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা সেবা প্রদান করার অপরাধে ও সরকারি অনুমোদন না থাকায় চিকিৎসা সেবা বন্ধ ঘোষণা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে মেডিকেল মোড়স্থ (তাহের মেডিসিনের গলি) কমফোর্ট হাসপিটালেও সিভিল সার্জনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় চিকিৎসা সেবা বন্ধসহ মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়। অবশেষে তাহের মেডিসিনের গলির পপুলার জেনারেল হাসপাতালটির অনুমোদন অপেক্ষামান, সিভিল সার্জনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডিউটিরত ডাক্তারদের অনুপস্থিতি, ডে ও নাইটে ১ জন করে নার্স এর ওপর দায়িত্ব দেয়াসহ নানা কারণে সকল চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশপুর্বক ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান ও সিভিল সার্জন, রংপুর এর প্রতিনিধি ডাঃ আঁখি সরকারের উপস্থিতিতে অপরাধগুলোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।