
মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বাজেটে আপৎকালীন ২০% বরাদ্দ রাখা, আরও পিসিআর ল্যাব স্থাপন, করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মানববন্ধন থেকে ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (২৮ জুন ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতাকর্মীদের অভিযোগ, রবিবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টায় রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করার জন্য নেতাকর্মীরা ব্যানার -ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হামলা চালিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়! সেইসাথে পুলিশ সদস্যরা মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় অনেক নেতাকর্মী প্রেসক্লাবের দোতলায় জেলা বাসদ অফিসে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর আরও পুলিশ সদস্য সেখানে যোগ দিয়ে প্রেসক্লাবের সিঁড়ির কাছে অবস্থান নিয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা সাদা পোশাকে প্রেসক্লাবের দোতলায় অবস্থিত বাসদ অফিসে গিয়ে রংপুর জেলা বাসদ সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুস, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নাহিদ, বিশাল , ছাত্র ফ্রন্টের কল্যাণ ও শুভসহ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশীদ জানান, করোনাকালে কিছু অতি উৎসাহী দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য মানববন্ধনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে জেলা বাসদ (মার্কসবাদী) দলের সদস্য আহসানুল আরেফিন তিতু ও মহানগর সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক সাজু রায় অভিযোগ করেন, মানববন্ধন কর্মসূচিটি সারা দেশে পালন করা হলেও রংপুরে পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই হামলা চালিয়ে ব্যানার- ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে ছাত্র ও নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। শুধু তাই নয়, দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বাসদের জেলা আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুস, ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতা নাহিদ ও বিশাল, ছাত্র ফ্রন্টের কল্যাণ ও শুভসহ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তারা আরও অভিযোগ করেন, মানববন্ধন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে তাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চরম অশোভন আচরণ করেছে পুলিশ। তারা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারদের মুক্তি দাবি করেন।
সিপিবির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা সম্পাদক শাহিন রহমান শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা, ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়া ও বাসদ জেলা সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাসদ নেতাসহ সব ছাত্রনেতার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।