মিজানুর রহমান,শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুর জেলায়
আগাম বার্তা দিচ্ছে শীত। ঋতু বৈচিত্রের কারণে ভোরে শীতের সঙ্গে দেখাও মিলছে ঘন কুয়াশার। গত ক’দিন ধরে বৃষ্টির পর বইছে হিমেল হাওয়া,সঙ্গে শুরু হয়েছে হালকা কুয়াশা।
ভোরের সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। এখন প্রতিদিন ভোরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে কুয়াশার। ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা। এদিকে শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
ভোর হতেই কুয়াশার দেখা, সকালের রোদে মিষ্টি ভাব, বার্তা দিয়ে যায়, প্রকৃতিতে শীত এলো বলে। শরৎ শেষে হেমন্ত এসেছে। এরপরেই শীতকাল।
কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এখন থেকেই জানান দিচ্ছে শীতের আগাম বার্তা। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে এরইমধ্যে দেখা মিলছে ভোরের শিশির আর কুয়াশার।
তবে গ্রামাঞ্চলেও দিনভর আবহাওয়া অনেকটা গরমই থাকছে। দিন শেষে গভীর রাত থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া, সেইসঙ্গে পড়ছে হালকা কুয়াশা। শিশির ভেজা সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙের ঝিলিক দেখা গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঘাসের মাথায় যেন মুক্তার মতো শিশির কণা জমে আছে।
দক্ষিণাঞ্চলের জনপদের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় সকালের ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগাম বার্তা।
মধ্যরাত থেকেই কুয়াশা পড়ছে। উপজেলায় দিনে গরম থাকলেও রাতে ও সকালে হালকা শীত অনুভব হচ্ছে।
রামপাল উপজেলা এলাকার এক প্রবীন ব্যক্তি বলেন, ‘হঠাৎ করেই আজ সকালে কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়ে গেছে।
প্রকৃতিতে নতুন কুয়াশা দেখে ভালোই লাগছে। এই কুয়াশায় জানান দিচ্ছে শীত দরজায় কড়া নাড়ছে।’