
মো.আলী হোসেন খাঁন : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চন্ডির ডহর জলমহাল নিয়ে ৫ গ্রামবাসীর মধ্যে মাইকিং করে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখালি ১ম খন্ড চন্ডির ডহর নামক জলমহালটি ইজারা নেন স্থানীয় তেলিকোনা গ্রামের নাজিম উদ্দিন। তবে এ জলমহালটি জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন কান্দারগাঁও গ্রামের আবদুর নুরের লোকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে ২১ মার্চ শনিবার আবারো ৫ গ্রামবাসীর মধ্যে সংর্ষের ঘটনা ঘটে। ইজারাদারদের পক্ষে তেলিকোনা ও আবদুন নুরের পক্ষে কান্দারগাঁও, নোয়াগাঁও, উসনপুর ও গাংপাড় গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। নদীর পাড়ে প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় নদীর দুই পারে দুই পক্ষ অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় নদী সাঁতার কেটে অনেকে আত্মরক্ষা করেন। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- মাহতাব আলী, ফারুক মিয়া, রাজন মিয়া, নবী হোসেন, আবু মুসা, আবদুল মছব্বির, আলম মিয়া, ফরুক হোসেন, নাজিম উদ্দিন, মির্জা হোসেন, রুবেল মিয়া, আতাউর রহমান, শরিফ উদ্দিন, ফজরুল ইসলাম, রুনু মিয়া, কামরুল ইসলাম। অন্য আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। কারণ আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নদীর ইজারাদার আহত নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে নৌকা, জাল, মাছ ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়েছে। এর আগে কয়েকবার হামলা করে আরো প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। তবে চেষ্টা করেও আবদুন নুর বা তার পক্ষের কারো মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জগন্নাথপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।