
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক : নাটোরের গুরুদাসপুরে নব্বই বছরের বৃদ্ধ খোরশেদ আলী ও তার স্ত্রী আয়শা খাতুনকে (৭৫ কে) ছেলের বউ মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। পুত্রবধূর নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আজ সোমবার গুরুদাসপুর থানায় গিয়ে হাজির হন ওই দম্পত্তি। বৃদ্ধ দম্পত্তির বাড়ি উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর মধ্যপাড়া গ্রামে।
ওই গ্রামের প্রতিবেশীরা জানান, বৃদ্ধ দম্পতি একটি ছাপরা ঘরে থাকেন। তাও ঝড়ে ভেঙে গেছে। জোড়াতালি দিয়ে ওই ঘরেই থাকেন তারা। বয়ঃবৃদ্ধ হওয়ার কারণে ছেলে বাহারের স্ত্রী তাদের ভাল চোখে দেখে না। মাঝেমধ্যেই মারধর করে। খেয়ে না খেয়ে দুঃখ কষ্টে চলছে তাদের জীবন। বাড়িটুকু ছাড়া তাদের অন্য কোন সম্পত্তিও নেই। তিন ছেলের খরচে চলেন তারা। বড় দুই ছেলে থাকেন ঈশ্বরদীতে। কিন্তু ছোট ছেলে বাহারের স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৩৭) শাশুড়িকে মাঝেমধ্যেই মারধর করে। হাতের কাছে যখন যা পায় তাই দিয়ে মারে। প্রতিবাদ করলে ভাত দেয়না।
আজ সোমবার থানায় আসার পথে তাদের কাছে থাকা ৪০০ টাকাও জনৈক ভ্যানচালক নিয়ে চম্পট দিয়েছে। তাদের করুন কান্নাকাটি দেখে চাঁচকৈড় বাজারের ব্যবসায়ী বাবু মোল্লা তাদের থানায় নিয়ে আসেন।
বৃদ্ধ খোরশেদ বলেন, বয়স্কভাতা ছাড়া জীবনে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাননি। এমনকি এই করোনাকালেও কোনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেও কেউ খোঁজ নেয়নি।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বৃদ্ধদের কথা শুনে অনাহারে থাকা বৃদ্ধা দম্পতির খাবারের ব্যবস্থা করেন এবং ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন । এ সময় ওসি অভিযুক্ত পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।