
শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম , গাইবান্ধা :
সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যথা সময়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা সিস্টেম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ।
গত বছরের ২৬ জুন মাসে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ।
নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি বিদ্যালয়গুলো স্লিপের ফান্ড থেকে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনবে ।
কিন্তু দীর্ঘ ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করা হয়নি ।
ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগ্রহী না হওয়ায় এখনো কার্যক্রম শেষ করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ।
তবে গত ৩০ জুন ভুয়া বিল ও ভাউচারে এসব অর্থ উত্তোলন করেছেন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।
গত বুধবার বিকালে বায়োমেট্রিক লাগানোর ঠিকাদার ইঞ্জিনিয়ার মান্নানের সঙ্গে উপজেলায় সাক্ষাৎ করা হলে, তিনি অভিযোগ করে বলেন, সুন্দরগঞ্জে বায়োমেট্রিকের কাজ করতে এসে দীর্ঘ ৬ মাস থেকে হয়রানিতে পড়েছেন তিনি ।
এমনকি মান্নান আরো বলেন, বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক বায়োমেট্রিক লাগানোর কাজে কোন প্রকার সহযোগিতা না করে তারা বায়োমেট্রিক লাগানোর বিপক্ষে কাজ করছেন, স্লিপের বরাদ্দ আছে, অর্থ নেই, এমনটাই জানিয়েছেন মান্নান ।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন উর রশিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায় নি।