
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক : অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও নারীঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে তাকে আটক করে র্যাব।
র্যাব জানায়, অনৈতিক ব্যবসায় জড়িত ওই নারীর নাম শামীমা নূর পাপিয়া। দেশ ত্যাগের আগে পাপিয়ার দুই ব্যক্তিগত সহযোগী ও তার স্বামীকে আটক করা হয়। অনৈতিক কাজ করে কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একটি হোটেলেই তিন মাসে খরচ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আটককৃত অন্যরা হলেন, স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন, সাব্বির খন্দকার, শেখ তাওবা।
র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব ১ এর অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, শামীমা নুর পাপিয়া একজন ব্যবসায়ী। এফডিসির কাছে কার এক্সচেঞ্জ নামক গাড়ির শোরুম আছে তার। নরসিংদী এলাকার অসহায় সুন্দরী নারীদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেন তিনি। বছরের অধিকাংশ সময় রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে, সেখান থেকেই অনৈতিক কাজে নারী সরবরাহ করেন তিনি। এই অবৈধ কাজ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। সে টাকায় কিনেছেন একাধিক বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি ও ফ্লাট ।
শাফিউল্লাহ বুলবুল আরও বলেন, গুলশানে অবস্থিত হোটেল ওয়েস্টিনের ২১ তলায় তার দুটি রুম ভাড়া নেওয়া আছে তার। সেখানেই তিনি তার কাজে সহযোগী মেয়েদের রাখেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার কাছ থেকে পাওয়া রশিদ অনুযায়ী গত তিন মাসে ওয়েস্টিন হোটেলে বার খরচ ও রুম ভাড়া হিসেবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছে সে।
তিনি বলেন, জালটাকা সরবরাহ করে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে গেলে র্যাব তাদের আটক করে। এসময় তাদের থেকে ৭টি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি নগদ ২ লাখ ১২ হাজার টাকা, জাল ২৫ হাজার টাকা, ভারতীয় রুপি ৩১০, শ্রীলংকান মুদ্রা ৪২০, ১১ হাজার ৯০ ইউএস ডলার উদ্ধার করা হয়েছে।