crimepatrol24
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ৭:৩২ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

৫ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মাঝে চাপা ক্ষোভ আর হতাশা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
এপ্রিল ২, ২০২২ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ
৫ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মাঝে চাপা ক্ষোভ আর হতাশা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

 

মো. ইব্রাহিম খলিল, হোমনা, কুমিল্লাঃ

সরকারি ও এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্যসমুহ দূরীকরণের লক্ষে জাতীয় সংসদে এমপিদের মাধ্যমে উত্থাপন , প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, সংবাদ সম্মেলন, কূটনৈতিক তৎপরতাসহ বিভিন্নভাবে যুগের পর যুগ শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া বিগত সরকার ও বর্তমান সরকারের নজরে আনা হলেও আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ায় ৫ লক্ষাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারীর মাঝে চরম হতাশা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা পত্রের অনুচ্ছেদ ২৩(২) -এ বলা হয়েছে- কোনরূপ বৈষম্য ছাড়া সমান কাজের জন্য প্রত্যেকের সমান বেতন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(খ) এ বলা হয়েছে-কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমান বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরীর বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার। অনুচ্ছেদ ২০(১) এ বলা হয়েছে-কর্ম হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয় এবং “প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী” এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করিবেন।অনুচ্ছেদ ১৫(ক) এ বলা হয়েছে-অন্ন , বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষাও চিকিৎসাসহ জীবন ধারনের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা; অনুচ্ছেদ ১৭(ক) এ বলা হয়েছে-রাষ্ট্র একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য; (খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকেসঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রনোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য; (গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা শিক্ষকসমাজ ভদ্র ও নিরীহ বলে সরকার আমাদের কথা আমলে নিচ্ছে না। আর সেকারণে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক একই সেবা দিলেও এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা যুগের পর যুগ আর্থিকভাবে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। অথচ সরকারের সকল নির্দেশনাও আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসছি। আমরা তারপরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করছি আমাদের আর্থিক বৈষম্যগুলো দূরীকরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশ বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক -কর্মচারী ফোরামের যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক-১ মো. ফরিদ উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫শ’ টাকা চিকিৎসাভাতা ও মূল বেতনের ২৫% উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন। নেই বদলি, পদোন্নতি ও পেনশন সুবিধা। চাকরি শেষে এককালীন সুবিধা পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হয়ে অনেক শিক্ষক রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় এবং পরিবার-পরিজনকে নিয়ে না খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হচ্ছে। আর মৃত্যুর পূর্বে জাতিকে দিয়ে যাচ্ছেন অভিশাপ। বর্তমানে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অবসর ভাতা ও কল্যাণ সুবিধার অর্থের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এদের মধ্যে ৩২ হাজার ৬০০ জন অবসর বোর্ডে ১৯ হাজার ৪৬০ জন কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করেছেন।শেষ জীবনে এসে অনেক শিক্ষক টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আটকে আছে অনেকের কণ্যার বিয়ে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকের মধ্যে আর্থিক বৈষম্যের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় , একজন সরকারি শিক্ষক মূল বেতনের ৪০% থেকে ৫০% বাড়ি ভাড়া, মূল বেতনের সমপরিমান উৎসব ভাতা ১ হাজার ৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও রয়েছে বদলি ও পদোন্নতিসহ সব ধরনের সুবিধা।এ যেন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য। বর্তমানে ১ হাজার টাকায় কিচেন রুমে থাকার সুযোগও নেই।২৫% উৎসব ভাতায় ২৫% উৎসব পালনই সম্ভব এর বেশি আশা করা যায় না।৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতাও নগণ্য।

এতে দেখা যায়, একজন বেসরকারি শিক্ষক সামাজকিতা রক্ষা করতেও ব্যর্থ হন।পরিবার -পরিজনের ন্যূনতম চাহিদাটুকুও পূরণ করতে না পারায় তাকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।অথচ বেসরকারি শিক্ষকরা সরকারি শিক্ষকদের সমযোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে সমপরিমান কাজ করলেও আর্থিকভাবে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এটা চলতে পারে না। তাছাড়া দেশের প্রায় ৯৭ ভাগ শিক্ষকই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত । এসব প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর বাকি ৩ ভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেও আসন থাকে সীমিত। সে কারণে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে অতি মেধাবী স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবশিষ্ট স্বল্পমেধাসম্পন্ন ও প্রায় মেধাশূন্য শিক্ষার্থীদের ঠাঁই হয় দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মহান দায়িত্বটুকু গ্রহণ করেন দেশের অবহেলিত বেসরকারি শিক্ষক সমাজ।বেসরকারি শিক্ষকদের অবহেলিত রেখে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে জাতীয়করণ করা হলে সরকারের খরচও তেমন হবে না। শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে এদেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ, শতভাগ সফল হবে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, উজ্জ্বল হবে সরকারের ভাবমূর্তি, বাস্তবায়ন হবে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। তাই অনতিবিলম্বে শিক্ষার মানোন্নয়ন জনস্বার্থ ও ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠায় এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বাংলাদেশ বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম’র কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, একটি স্বাধীন দেশে সরকারি-বেসরকারি এ দু’ধারায় শিক্ষাব্যবস্থা চলতে পারে না। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় বিবেচনা করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈষম্য দূরীকরণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

বাংলাদেশ বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, আমরা অন্য দশটি পেশাজীবীর মতো নই। আমরা মানুষ গড়ার কারিগর। আমরা বিভিন্ন সময়ে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলো সরকারকে অবহিত করেছি। তারপরেও সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলো পূরণ না করায় আমরা প্রায় ৫ লক্ষাধিক এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী চরম হতাশার মধ্যে রয়েছি। আমাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়াগুলো মেনে নিয়ে সরকারি -বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় বিরাজমান পাহাড়সমগুলো নিরসনকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

কেএমপি’র অভিযানে মাদকসহ ৪ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য এই বইটিই আপনার প্রয়োজন

ঝিনাইদহে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা ও সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

র‌্যাব-৬, সিপিসি-২’র সফল অভিযানে মহেশপুরে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

উজিরপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

গাইবান্ধায় ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শিশু সোলাইমানকে বাঁচাতে মানবিক আর্থিক সাহায্যের আবেদন

‘সংবিধান ও রাষ্ট্রের ওপরে আঘাত কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে’: আইজিপি

দাউদকান্দিতে সাবেক মন্ত্রী রশীদ ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রংপুরে ১৪৮০ পিস ইয়াবাসহ মা-ছেলে আটক

মিরপুরে ট্র্যাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত