মো. পারভেজ আলম, জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা>> করোনাভাইরাসের প্রকোপ ব্যাপকতা পেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে যে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে,তাই সরকারি ব্যয়ে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “করোনাভাইরাস যদি আবার ব্যাপক হারে দেখা দেয়, তখন আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। মানুষকে আবার আমাদের সহযোগিতা করতে হবে, চিকিৎসা করতে হবে, ওষুধ কিনতে হবে। হয়তো আরো ডাক্তার, নার্স আমাদের লাগবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু আমাদের নেহায়েত প্রয়োজন, তার বেশি কোনো পয়সা এখন খরচ করা চলবে না। ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেই সেই ব্যবস্থা নিতে হবে” । গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কয়েকটি ব্যাটালিয়নকে ‘ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ (জাতীয় পতাকা) প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপের কথা প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
মহামারীর মধ্যেও ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই বাজেট দেওয়া কঠিন ছিল। তবুও আমরা দিয়েছি। তারপরও বলেছি যে অর্থ খরচের ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে।”
এই অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ১,৩,৬,৮ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন, অ্যাডহক ১১ বীর মেকানাইজড ব্যাটালিয়ন, ১২ বীর, ১৩ বীর, ১৫ বীর সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন, ৫৯ ইস্ট বেঙ্গল সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন এবং স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকসকে (এসআইএন্ডটি)’ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) দেওয়া হয়। সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে দেশপ্রেম ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সেনা কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সম্পদ ও মানুষের ভরসা এবং বিশ্বাসের প্রতীক। কোনো সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা, বিশ্বাস যদি অর্জন করতে না পারে, তাহলে কখনো তারা কোনো বিজয় অর্জন করতে পারে না। তাই আপনাদের সকলকে পেশাগতভাবে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে। দেশপ্রেম ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর বাংলাদেশের জনগণ- এরা তো আপনাদেরই আপনজন। আপনাদেরই পরিবারের সদস্য। কাজেই তাদের কল্যাণ্যের কথা চিন্তা করে আপনাদের কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই পতাকা। এই পতাকা হচ্ছে একটি জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সন্মান ও মর্যাদার প্রতীক। এই পতাকার মান রক্ষা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব। প্রতিটি সৈনিক এবং আমি মনে করি সকল জনসাধারণ- সবারই দায়িত্ব এই পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা। কারণ এটাই হচ্ছে আমাদের প্রতীক, আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের”।