মো. সাইফুল্লাহ খাঁন,জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুর নগরীর ৩৩ নং ওয়ার্ডের বসুনিয়া পাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধা সালমা বেগমের বর্তমান বয়স ১০০ বছর পেরিয়ে। স্বামীকে কবে হারিয়েছেন ঠিক বলতে পারেন না। ৮ সন্তানের জননী এই অসহায় বৃদ্ধাকে সন্তানরা দেখভাল না করায় করুণ পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তার অবস্থা আরো করুণ হয়ে উঠে।
‘উই আর বাংলাদেশ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই বৃদ্ধার করুণ অবস্থা তুলে ধরে ফেইসবুকে পোস্ট দিলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।
বুধবার দুপুরে ‘উই আর বাংলাদেশ’ এর আর্থিক সহযোগিতা ও জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে গৃহহীন অসহায় বৃদ্ধাকে একটি বাড়ী উপহার দেওয়া হয়। রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) ও “উই আর বাংলাদেশ” গ্রুপের এডমিন মোঃ আশরাফুল ইসলাম পলাশের সভাপতিত্বে বাড়ী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মারুফ আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আশরাফুল আলম পলাশসহ রংপুর জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছেন প্রায় অনেক বছর আগে। ৮ সন্তানের মধ্যে ৭ জনই খোঁজ খবর নেননা। তবে তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ও অসুস্থ ছেলে ও তার স্ত্রী কিছুটা দেখাশোনা করেন। বেশিরভাগ সময়ই খেয়ে না খেয়েই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। থাকতেন ভাঙ্গা ঝুপড়ি ঘরে, পেতেন না বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতাও। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম জানান, এর আগে তার ছেলে বয়স্ক ভাতার জন্য আমার কাছে আসলেও তার মা যে বেঁচে আছেন এটা আমি জানতাম না। এখন থেকে নিয়মিত তার খোঁজখবর রাখবো।
পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো পূন্যের কাজ। সমাজের অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।