
মো: বাবুল নেত্রকোনা থেকে: নেত্রকোনায় দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সরকারি নির্দেশ থাকলেও আইনকে অমান্য করে অবাধে অটো-রিক্সা,হাট-বাজার ও হোটেল রেস্টুরেন্ট তাদের ইচ্ছে মতো চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে কোভিড১৯ আক্রান্ত বাড়তে পারে বলে জানান সচেতন নাগরিকগণ। নেত্রকোনার প্রধান প্রধান সড়কে ঘুরে দেখা যায় অটোতে যাত্রী তোলার নিয়ম ৪জন কিন্থু সেই আগের মতই অবাধে যাত্রী গাদাগাদি করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার মো: আকবর আলী মুন্সীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করে নেত্রকোনাবাসীর ভাল কিছু করার এবং সচেতনতামূলক পরামর্শ দিয়েই যাচ্ছি। সাধারণ মানুষজন আমাদের সাথে চোর-পুলিশ খেলা করে যা উনাদের জন্যই ক্ষতিকর ।আমি আমার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি কোন যানবাহন আইন অমান্য করলেই সাথে সাথে মামলা করার জন্য।নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন ডা: মো: তাজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, নেত্রকোনায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৮৯ জন সুস্থ হয়েছেন ১০৩ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে কোন প্রকার সচেতন বা মাইকিং করা হচ্ছে কিনা এবং কতটুকু ফলপ্রসূ হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন প্রতিনিয়তই আমরাসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন সচেতনমূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি প্রতিদিনই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা
নিজ থেকে সচেতন হলেই এই করোনা থেকে মুক্তি পাব ইনশাআল্লাহ। নেত্রকোনা জেলায় নমুনা পরীক্ষা করার পিসিআর ল্যাব না থাকায় রোগী শনাক্ত হতে অনেকটাই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে আপনি কি পিসিআর ল্যাবের জন্য চাহিদা দিয়েছেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্রাইম পেট্রোল২৪ কে জানান, হ্যা, আমি চেস্টা করছি পিসিআর ল্যাবের যাতে দ্রুত ব্যবস্থা করা যায়।
উল্লেখ্য,গত১মাস বিভিন্ন সংগঠন,সুশীলসমাজ,সাংবাদিকসহ টানা ১৫ দিন যাবত মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন একটা পিসিআর ল্যাবের জন্য। কিন্থু দুঃখের বিষয়, আজও করোনা শনাক্ত করার জন্য পিসিআর ল্যাব পাওয়া যায়নি।