
নীলফামারী প্রতিনিধি>>
নিখোঁজের পাঁচদিন পর তিস্তা নদী থেকে মনসুর আলী(৩৫)নামে এক যুককের ‘অর্ধগলিত’ ‘লাশ’ উদ্ধার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ।সোমবার(২৫ অক্টোবর)দুপুরের দিকে ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পাগল পাড়া দোহলপাড়ার তিস্তা নদীর গ্রোয়িং বাঁধ এলাকা থেকে ওই যুবকের ‘লাশ’ উদ্ধার করা হয়।পরে তার স্ত্রী ‘লাশ’ শনাক্ত করেন।মনসুর একই উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের দৌলতপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার(২০অক্টোবর)সকালে পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনী বাজার যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও আর ফেরেনি মনসুর। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় গত রবিবার(২৪অক্টোবর)থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন নিহতের স্ত্রী সাহিদা বেগম।সোমবার উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহল পাড়া পাগল পাড়ার তিস্তা নদীর গ্রোয়িং বাঁধ এলাকায় মনসুরের ‘লাশ’ এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
মনসুরের স্ত্রী সাহিদা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গত বুধবার কলোনী যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় আমার স্বামী।রাতে বাড়ি না ফেরায় তাকে কল করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।কয়েকদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া না গেলে গত রবিবার ডিমলা থানায় সাধারণ ডায়েরী(জিডি)করা হয় ।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সিরাজুল ইসলামের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল নম্বরে(০১৩২০১৩৫৫০৬)একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ডিমলা থানার পরিদর্শক(ওসি তদন্ত)বিশ্বদেব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,খবর পেয়ে তিস্তা নদীর গ্রোয়িং এলাকা থেকে এক ব্যক্তির ‘লাশ’ উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ‘মৃত্যুর’ আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।