crimepatrol24
১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ১০:৪৬ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

নিজের ভাই-ভাতিজাদের সরকারি ঘর করে দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে শৈলকুপার চেয়ারম্যান

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
নভেম্বর ৪, ২০২০ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ 

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তার নিজের ভাই ভাতিজাদের সরকারি ঘর করে দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ঘর প্রাপ্তরা দুঃস্থ বা হতদরিদ্র নন। রীতিমত প্রভাবশালী এবং বংশ মর্যাদা সম্পন্ন হিসেবে এলাকায় পরিচিত। খোদ চেয়ারম্যানের পৈত্রিক ভিটায় বাহারী রঙের সরকারি ঘর সবার নজর কেড়েছে। এ ধরণের তিনটি সরকারি ঘর তিনি তার নিজের পরিবারের মধ্যে তৈরি করে দিয়েছেন। পথচারীরা এই সরকারি ঘর দেখছেন ও নানা মন্তব্য করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ২টি ও আগের বছরে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের একটিসহ মোট ৩টি পাকা সরকারি ঘর নির্মিত হয়েছে শৈলকুপার হুদামাইলমারী গ্রামে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন তার বড় ভাই মৃত আজিবর মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম ও শামছুল ইসলাম এবং মেজো ভাই মোকাদ্দেস মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলামের একটি পাকা ঘর করে দিয়েছেন। আপন ভাই ভাতিজার ভিটায় সরকারি পাকা ঘর তুলে দেওয়ায় এলাকাজুড়ে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকার মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যানের ভাই ভাতিজাদের নামে সরকারি ঘর করে দিলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনা। গ্রামবাসীর ভাষ্য আমিরুলের ছেলে ফিরোজুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা। তাছাড়া চেয়ারম্যান পরিবারে যথেষ্ট সম্পদ এবং প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে।

শেরপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে নুর ইসলাম চুন্টু অভিযোগ করেন, তিনি প্রকৃত গৃহহীন হলেও একাধিকবার চেষ্টা করেও তিনি ঘর পান নাই। জরাজীর্ণ খুপরিঘরে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন।

শৈলকুপার ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন জানান, আমি সবে মাত্র অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছি। এ ধরনের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা আমার জানা নেই। তবে ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি পাকা ঘর যদি কোন চেয়ারম্যান অবস্থাশালীদের দিয়ে থাকেন তবে সেটা হবে নিন্দনীয় কাজ। তিনি বলেন, ঘরের সুবিধাভোগীর নাম নির্বাচনের এখতিয়ার চেয়ারম্যানদের। এই সুযোগে এমনটি হতে পারে।

হরিণাকুন্ডুর ইউএনও সাইফুল ইসলাম জানান, আমি শৈলকুপা থেকে বদলী হয়ে চলে যাচ্ছি। বিদায় বেলায় আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে চেয়ারম্যানের আত্মীয়-স্বজনরা যদি অসচ্ছল হয় তবে দিতে পারেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর ইউনিয়ন সচিব রকিব উদ্দীন আল-ফারুক জানান, যতুটুকু জানি চেয়ারম্যানের ভাই-ভাতিজাগণও খুব  সচ্ছল নন। তবে ব্যাংক কর্মকর্তার ভিটে বাড়িতে ঘর তোলার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের বক্তব্য জানতে তার কাছে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

প্রতিনিধি আবশ্যক

হোমনায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে মতবিনিময়

খালিয়াজুরিতে সাংবাদিকদের ওপর হা*মলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

বাংলাকে চির সবুজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সচিবালয়ের নিরাপত্তা জোরদারকরণে ৭ নির্দেশনা

দিনাজপুরে জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. ফইম উদ্দিন এর বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা

ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এমপিওভুক্ত করায় আনন্দ র‌্যালি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

দেশের ২০ কোটি মানুষের স্বার্থেই এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ হওয়া উচিত

দেশের ২০ কোটি মানুষের স্বার্থেই এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ হওয়া উচিত

করোনার দুর্যোগে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে : জি এম কাদের

কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন