মিজানুর রহমান,শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ৭ ডিসেম্বর শেরপুর মুক্ত দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করেন।
এইদিন মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সর্বাধিনায়ক প্রয়াত জগজিৎ সিং অরোরা শেরপুর শহিদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে হাজারো জনতার শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে তিনি মুক্ত শেরপুরে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করেন।
শেরপুর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান ও মুক্তিযোদ্ধা তালাফতুপ হোসেন মঞ্জু জানান, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসে বর্তমান শেরপুর জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৩০-৪০ টি খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।এসব যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে ৫৯ জন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। হানাদারদের নির্মমতার শিকার হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে ১৮৭ জন, শেরপুর সদর উপজেলার সূর্যদী গ্রামে ৩৯ জন এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার জগৎপুর গ্রামে ৪১ জনসহ মুক্তিকামী বহু মানুষ শহিদ হন মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ ও গু*লি বর্ষণের মুখে পাকিস্তানি সেনারা ৬ ডিসেম্বর রাতের আধারে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এরপর ৭ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় শেরপুর।’
জাতীয়ভাবে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হলেও এই দিনটি শেরপুর জেলাবাসীর জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।