
মো. ইব্রাহিম খলিল, হোমনা, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লার হোমনায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে (২২) গণধর্ষণের অভিযোগে চার যুবককে শনিবার তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো- একই ইউনিয়নের চাকুড়িয়া গ্রামের ১। মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. হাসান (২৭), ২। মোহন মিয়ার ছেলে মো. রাসেল (২০), ৩। জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. ইউসুফ প্রকাশ বাদশা (২৫) ও ৪। মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (১৬)।
গণধর্ষণ ঘটনার দশ দিন পর গতকাল বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরে (হোমনা-মেঘনা) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২০খ্রি. মঙ্গলবার উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের চারকুড়িয়া গ্রামে ভিকটিমের বাড়িতে গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় চার জনকে আসামী করে শনিবার ভিকটিমের স্বামী হোমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন ।
স্থানীয় এবং থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম এবং তার স্বামী দুজনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তাদের সংসারে আড়াই বছর এবং এক বছরের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর ২০২০খ্রি. দিনগত রাত দুইটার দিকে আসামীরা কৌশলে ঘরে ঢুকে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে পাঁচশ’ টাকা ও নতুন জামা কিনে দেওয়া এবং স্বামীকে ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে তাকে ধর্ষণ করে।স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় আসামী হাসান এর আগেও কয়েকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে।
(হোমনা-মেঘনা )সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরে শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করি এবং অভিযুক্ত চার আসামীকে গ্রেফতার করি।২৯ ডিসেম্বর ২০২০খ্রি রাতে হাসান তার সঙ্গীদের নিয়ে পাঁচশ’ টাকা ও নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে স্বামীকে ভয়ভীতি এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় হাসান এর আগেও ওই গৃহবধূকে কয়েকবার ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে।বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলেও শোনা গেছে।’
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ‘গণধর্ষণের দায়ে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল (রবিবার) আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।