crimepatrol24
২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১১:১৫ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চায় বাংলাদেশ কংগ্রেস

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জুলাই ২৪, ২০২০ ২:০৯ অপরাহ্ণ

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:

স্বাস্থ্য খাতের সকল অনিয়ম তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, দায়ীদের শাস্তি প্রদান, করোনার ভূয়া রিপোর্টে গৃহীত আর্থিক সুবিধা বাতিল এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে দেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেস। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ ২৪ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারমান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক অব্যবস্থাপনার দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। তার অদক্ষতার কারণে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
বক্তৃতা দানকালে বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারমান অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা সেবা, যন্ত্রপাতি ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাতে এমন কোন জায়গা নেই যে, সেখানে দুর্নীতি হয় না। বছরের পর বছর এই সকল দুর্নীতিগুলো অনবরত ঘটে যাচ্ছে অথচ সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে স্বাস্থ্য খাতের সকল দুর্নীতি ও অনিয়ম চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান তিনি।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে ব্যবহার করে আর যেন কোন সাহেদ-সাবরিনা তৈরি না হয়।

মহাসচিব অ্যাড. মোঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেন, সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আজ ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির সীমা-পরিসীমা নেই। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা-সর্বত্রই দুর্নীতিবাজদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগসাজসে স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোটি কোটি টাকার যন্ত্র বা চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার ব্যবস্থা করেন। বিনিময়ে ঠিকাদার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কমিশন পান। একদিকে সরকারি হাসপাতালগুলোয় বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চলে রমরমা ব্যবসা। “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়া উচিত” মর্মে মন্তব্য করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরিষার মধ্যের ভূত আগে দূর করতে হবে, অন্যথায় এ খাতের অব্যবস্থাপনা কোনদিন দূর হবে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন প্রতি বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে একদিকে যেমন মেডিকেল শিক্ষাকে ধ্বংস করছে, অন্যদিকে তেমনি প্রশ্ন জালিয়াতির মাধ্যমে দেশে দুর্নীতিবাজ চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অদক্ষতা ও আমলাতান্ত্রিক দৌরাত্ম্যের কারণে স্বাস্থ্যখাতের এই বেহাল অবস্থা। শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগ যথেষ্ট নয়, দেশ ও জনগণের কল্যাণে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সরে যাওয়া উচিত।

দলের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, করোনা স্বাস্থ্য খাতের করুণ অবস্থা প্রকাশ করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে কত দুর্নীতিগ্রস্ত সেটা জনগণ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। মানুষ শুধু আশার বাণী শুনতে চায় না, তারা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চায়।

তিনি বলেন,দেশের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকের কোন অনুমোদন নেই বা সেখানে সরকারের কোন মনিটরিং নেই। অবিলম্বে একটি যুগোপযোগী স্বাস্থ্যনীতি করার জন্য তাগিদ দেন তিনি।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোর্শেদ বলেন, খোদ রাজধানীর কোন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশ নেই। বেসরকারি হাসপাতালে যে সব চিকিৎসক বসেন সরকারি হাসপাতালও তারা চালান। কিন্তু সেবার মান দুই রকম হয়ে যায়। বেসরকারি হাসপাতালে বা বিদেশে যারা যেতে পারছেন না, তারা সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারের হাসপাতাল বা ক্লিনিক থাকলেও সেসব জায়গায় সর্দি-কাশি ছাড়া কোন প্রকার চিকিৎসা নেই। সেজন্য চিকিৎসার জন্য সবাই রাজধানীতে দৌড়ায়। সরকারব হাসপাতালের ব্যর্থতার কারণে বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবসা রমরমা আকার ধারণ করেছে এবং অধিকাংশ জায়গায় অহরহ অপচিকিৎসা বা প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। কোন সরকারই প্রত্যন্ত এলাকার চিকিৎসার মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী বা মান সম্মত পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা না থাকায় চিকিৎসকরা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে থাকতে চান না। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকরা যাতে পরিবার নিয়ে থাকার আগ্রহ দেখায় সেজন্য সেসব পর্যায়ে শিক্ষা ও নিরাপত্তাসহ জীবন যাপনের অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের পরিবেশ তৈরি করতে হবে মর্মে মতামত দেন দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. দেবদাস সরকার। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির চিত্র নতুন নয়, ৩৭ হাজার টাকায় পর্দা কেনা বা ৫ হাজার টাকায় বালিশ কেনার ঘটনা অনেক পুরনো। কোটি কোটি টাকায় কেনা চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বছরের পর বছর বাক্সবন্দি হয়ে নষ্ট হয়ে যায়, আবার বেসরকারি হাসপাতালেও এসব দামি দামি সরকারি সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। শুধু সরঞ্জামাদি নয়, সরকারি ওষুধও দেদারসে বাজারে পাওয়া যায়। এসব অপকর্মে যারা জড়িত থাকে তাদের কিছুই হয় না।

দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম ন্যাশনাল সিনেটের সদস্য মোঃ শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা মান সম্মত না। এ খাত নানান দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় জর্জড়িত। মেডিকেল ভর্তিতে প্রতি বছর প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। তিনি বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা শুধু চিকিৎসকদের ওপর নির্ভর করে না। তারা ছাড়াও নার্স, টেকনোলজিস্ট ও ব্যবস্থাপনা সহকারী মিলেই চিকিৎসা ব্যবস্থা চলে। সবক্ষেত্রে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন যা এদেশে হয় না।

এছাড়া বক্তারা আরও বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদেরকে আরো বেশি মানবিক হতে হবে। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতি বেশি বাণিজ্যিক আচরণ করেন এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা তাদের বলয় থেকে বেরিয়ে মানবিক আচরণ করতে পারে না।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক-১

রংপুরে পুলিশ ভ্যান থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে গেল আসামি শাহ্‌ পরান

দেশে করোনায় আরও ১০১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪৪১৭

কেএমপি’র অভিযানে মা’দকসহ ৮ মা’দক কারবারি গ্রে’ফতার

ঝিনাইদহে সাধুহাটি ইউপি চেয়ারম্যান নাজীর উদ্দিনের সহযোগিতায় নিন্মআয়ের মানুষের মাঝে সামগ্রী বিতরণ

স্বাদ আছে, সাধ্য নেই, দেখেই ইলিশের স্বাদ মেটায় নিম্নআয়ের পরিবারগুলো

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি

ডোমারে একাধিক মাদক মামলার আসামি রিপন হেরোইনসহ আটক

লকডাউন: ঝিনাইদহের উপজেলা শহরেগুলোতে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি, খোলা হচ্ছে দোকানপাট!