মো. পারভেজ আলম, জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে গণটিকা কর্মসূচি আর হচ্ছে না, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
তিনি বলেন, টিকা কর্মসূচিতে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশে গণটিকা কর্মসূচি বন্ধ নয়, আরও জোরদার করতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একেক সময় একেক কথায় দেশের জনগণ এখন আর আস্থা রাখতে পারতেছে না।
আজ (২৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
তার মতে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। এতে দরকার হবে ১৬ কোটি ডোজ করোনার টিকা। কিন্তু ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। ফলে এইসব আজগবি কথা বলার কোন মানেই হয়না। সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের কোন আস্থা নেই।
জিএম কাদের মনে করেন, এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬২২ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার ২১৫ জন। ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রয়োজন হবে ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ১৬৩ ডোজ টিকা। প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সোয়া ২ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে এই বিপুল সংখ্যক টিকা কখন, কোথা থেকে আসবে এবং কীভাবে প্রয়োগ হবে তা উল্লেখ নেই।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, গণটিকা কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছিলো কিন্তু প্রতিদিন লাখ লাখ সাধারণ মানুষ টিকা পেয়েছেন। তবে আমরা আশা করছি, সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করে আবারো গণটিকা কর্মসূচি চালু করতে হবে। গণটিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সারা পৃথিবী যখন জীবন যাত্রা স্বাভাবিক করে ফেলেছে, তখনও বাংলাদেশের নাম বিশ্বের মধ্যে টিকা প্রয়োগে পিছিয়ে পড়া দেশের তালিকায়। দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, এশিয়ার মধ্যেও করোনার টিকা প্রয়োগে বাংলাদেশ পিছিয়ে। তাই সরকারকে আহবান করব করোনা প্রতিরোধে গণটিকা কর্মসূচির বিকল্প নেই।