
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক : নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুটি নকল কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। একটিতে ময়লা পানি, বিভিন্ন রাসায়নিক ও সুগন্ধি মিলিয়ে তৈরী হচ্ছে নামিদামি প্রতিষ্ঠানের প্রসাধন সামগ্রী। অন্যটিতে প্রস্তুত হচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য। আসল পণ্যের হুবুহু কপি ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বাজারে।এ দুটি নকল কারখানায় বুধবার রাতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। প্রায় ১শ’ কোটি টাকা মূল্যমানের মালামাল জব্দসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারখানা দুটি সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় অবস্থিত।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় বুধবার রাতে একটি কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল ঘিরে ফেলে শিমরাইল এলাকার কারখানাটি। পরে একই মালিকানার পাশের আরেকটি কারখানায় অভিযান চলে। আনুমানিক ১শ’ কোটি টাকা মূল্যমানের নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য জব্দ করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিআইও-২) সাজ্জাদ রোমন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক, পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক, পরিদর্শক (অপারেশন) এইচ এম জসিম উদ্দিনসহ কর্মকর্তারা।
শিমরাইল-ডেমরা সড়কের পাশে অবস্থিত ম্যাক্স ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ও মুনস্টার প্রাইভেট লিমিটেড প্রকৃতপক্ষে নকল মালামাল প্রস্তুত ও বিপননে জড়িত তা জানা ছিল না স্থানীয়দের। কারখানা দুটির মালিক বেলায়েত হোসেন। তাকে পুলিশ আটক করতে না পারলেও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম, রাজীব, মাইনুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান। কারখানা দুটিতে তারা বিভিন্ন পদে কর্মরত।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বেলায়েত হোসেন নকল প্রসাধনী তৈরি করে বাজারজাত করে আসছেন। বিভিন্ন দেশের ব্রান্ড নকল করতেই কারখানা স্থাপন। এখানে ময়লাপানিতে বিভিন্ন ধরণের রং ও সুগন্ধীর মাধ্যমে তৈরী হয় প্রসাধনী। যা পরে ফরইভার, হেভক, কোবরা, গাম্ভি, ফগ, রয়েলসহ বিদেশী ব্রান্ডের পণ্যের নামে বাজারজাত করা হয়। প্রসাধনীগুলো ব্যবহারে মানুষের ক্যান্সার এবং চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আরেক কারখানায় সনি ব্রাভিয়া, স্যামসাং, প্যানাসনিক, এলজি ব্র্যান্ডের নামে মজুদ রয়েছে বিভিন্ন নকল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য। যা তারা বাজারজাত করে আসছিল। এসব ইলেকট্রনিক্স পণ্য সাধারণ মানুষ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।’