crimepatrol24
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ৪:০৩ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

সরকারের সদিচ্ছা থাকলে কোনোরকম ভর্তুকি ছাড়াই এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ সম্ভব

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
অক্টোবর ২, ২০২২ ১০:০৬ অপরাহ্ণ
সরকারের সদিচ্ছা থাকলে কোনোরকম ভর্তুকি ছাড়াই এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ সম্ভব

 

 

 

মো. ইব্রাহিম খলিলঃ

শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালার মাধ্যমে কোনোরকম ভর্তুকি ছাড়াই বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক – কর্মচারী ফোরাম’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন।

আজ রোববার (২ অক্টোবর, ২০২২ খ্রি.) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারী ফোরাম আয়োজিত ‘ এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ  ও শিক্ষার মানোন্নয়নের একমাত্র উপায় শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

আলোচনায় অংশ গ্রহন করে প্রফেসর ড. হোসনে আরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়য়, প্রফেসর ড. শাহানেওয়াজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রফেসর ড. তৌহিদুল হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা,  এটিএম মমতাজুল করিম, সভাপতি সার্ক কালচারাল সোসাইটি।

 

 

 

শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম বাবেশিকফো’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন “স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিরাজমান। বৈষম্য গুলো হলো- বাড়ি ভাড়া, উৎসবভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা, হাউজ লোন, বদলি প্রথা, চাকরি শেষে নেই পেনশনের সুবিধা। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীগণের নিকট থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০% হারে কেটে রাখলেও বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন তাদের জন্য বদলী ব্যবস্থা চালু অতীব জরুরি। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ও ৫শ’ টাকা চিকিৎসা ভাতা  ও একজন শিক্ষক মূল বেতনের ২৫% উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন, আছে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্ণিং বডির অনৈতিক হস্তক্ষেপ। বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন বৈষম্য আছে বলে মনে হয় না। শিক্ষক কর্মচারী নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএ সুপারিশ করলেও নিয়োগ দিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্ণিং বডির উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে । প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান , কর্মচারী নিয়োগ কমিটির হাতে থাকায় নিয়োগ বাণিজ্যের কথা হরহামেশাই শোনা যায়। এই বৈষম্য ও দূর্নীতি দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ জরুরি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। মেধাবীরা এ পেশায় আসবে। ফলে স্বল্প খরচে সকল নাগরিক একই মানের মানসম্মত শিক্ষা পাবে, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হ্রাস পাবে, প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের নিয়ন্ত্রনে আসবে। ফলে সরকারি অর্থের অপচয় ও দূর্নীতি রোধ হবে। বিনিময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ চাকরির নিশ্চয়তা পাবেন। অভিভাবকগণের শিক্ষা ব্যয় অনেক কমবে। শিক্ষায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সু-স্পষ্ট ঘোষণা ছিল, “শিক্ষার জন্য খরচ কোন ব্যয় নয় বরং ইহা উত্তম বিনিয়োগ।” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীত করেন এবং বেসরকারি কলেজের বেতন ১৫০ টাকায় উন্নীত করেন। তাছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য রেশনিং এর ব্যবস্থা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে প্রায় ২৬ হাজার একশরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন । ২০১৮ খ্রি. এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণের বেতন ৫% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতার ব্যবস্থা করেন । এরই ধারাবাহিকতায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ সময়ের দাবি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয় তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই কোনোরকম ভর্তুকি ব্যতিরেকেই এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা সম্ভব ।

উক্ত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেব অংশগ্রহণ  করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. হোসনে আরা, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শাহানেওয়াজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. তৌহিদুল হাসান, অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা,  সার্ক কালচারাল সোসাইটির সভাপতি এটিএম মমতাজুল করিম।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাবেশিকফো’ মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু রায়হান, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হাই, যুগ্ম-মহাসচিব মো. জহিরুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, সরকার বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক- কর্মচারী যে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে তা অত্যন্ত নগণ্য। শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য থাকা কারো কাম্য নয়। এ বৈষম্য বিরাজমান থাকলে অদূর ভবিষ্যতে মেধাবীরা শিক্ষকতার পেশায় আসবেনা। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা চরম সংকটে পড়বে। তাই জনস্বার্থ, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান বৈষম্য দূর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা অতি দ্রুত জাতীয়করণ করা জরুরি বলে মত প্রকাশ করেন তারা।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

কুমারখালীতে অনৈতিক কাজের সময় হাতে-নাতে কপোত-কপোতি আটক

ডোমারে সাংবাদিক ইমরানের মায়ের ইন্তেকাল

দাউদকান্দিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমিসহ ঘর পাচ্ছেন আরও ৯০টি ভূমিহীন পরিবার

সরকারি পরিসেবার কার্যকারিতায় ভিজিডি তালিকা প্রণয়ন বিষয়ক গণশুনানি

টেন্ডারবাজি নিয়ে রংপুর সিটিতে হট্টগোল, কাউন্সিলর লাঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ২৮ দিন ধরে রাজপথে শিক্ষকরা, বাড়ছে অসুস্থতার হার!

করোনায় নতুন বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩১, শনাক্ত ১০০৭

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে বদলির সুপারিশ এমপির

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন করোনাযোদ্ধা মঞ্জরুল ইসলাম বিদ্যুৎ

টাঙ্গাইলে ক্যান্সারে আক্রান্ত মামুন বাঁচতে চায়