মো. আনিছুল করীম, বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শহিদ মিয়ার পাশে দাঁড়ালেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। গত বুধবার (০৬ নভেম্বর) ক্রাইমপেট্রোল.কম পত্রিকায় ‘সুন্দরগঞ্জের শহিদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে তা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের দৃষ্টিগোচর হয়।
তিনি বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে তার কার্যালয়ে অদম্য মেধাবী শহিদ মিয়ার হাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা তুলে দেন এবং শহিদ যাতে স্বাচ্ছন্দে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারে সে জন্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর (ছাতিনামারী) গ্রামে বেড়ে ওঠেন শহিদ। বাবা ছবিয়াল মিয়া রিক্সাভ্যান চালিয়ে কোনোমতে সংসার চালাতেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ ষাটোর্ধ্ব ছবিয়াল এখন তা-ও পারছেন না। মা ছকিনা বেগম গৃহস্থালির কাজ করেন। ছবিয়াল অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে সংসারের হাল ধরে রেখেছেন।
পরিবারের এই অবস্থায় গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়িয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ জোগাতেন শহিদ মিয়া। এভাবে সংগ্রাম করে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন তিনি।
ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৮৭৩তম হন। কিন্তু অর্থাভাবে ভর্তি নিয়ে শঙ্কায় পড়েন এই মেধাবী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের পরমুহূর্তে মনে দুশ্চিন্তা ভর করে শহিদের—ভর্তির খরচ আর পরবর্তী সময়ে পড়ালেখার খরচ কীভাবে চলবে। শহিদের বাবা ছবিয়াল মিয়া সন্তানের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চান।