মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : মো. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সারাদেশের ন্যায় গনটিকাদান কর্মসূচি চলছে রংপুর বিভাগ জুড়ে। সকাল থেকেই কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। ক্যাম্পেইন চললেও গণমানুষের ব্যাপক আগ্রহ থাকায় নির্ধারিত সময়ে টিকাদানের লক্ষ্য পূরণ হয়ে যাবে, বলছেন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা। শনিবার ৭ আগস্ট রংপুর বিভাগের আট জেলায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১ হাজার ৯৭০টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। গণটিকাদান কার্যক্রমের প্রথম দিন শনিবার রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩৩টি ওয়ার্ডের ৯৯টি কেন্দ্রে ১৯৮০০ জনকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। এছাড়াও প্রথমদিন বাদ পড়া ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ের ওয়ার্ডে টিকা দেওয়া হবে আগামী ৮ ও ৯ আগস্ট। নগরীর বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এই গণটিকাদান কর্মসূচি মানুষের মধ্যে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনার তৈরি করেছে বললেন টিকা নিতে আসা মানুষজন।
তবে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সবাইকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। রংপুরে পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে এবং এই টিকার পাশাপাশি অন্যান্য টিকার কাজও চলমান থাকবে বলে জানান রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, সিটি কর্পোরেশনের মেয়য় মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা,স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক প্রশাসন ডাঃ ওবারুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। রংপুররে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে কোভিট ১৯ টিকার আওতায় আনার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। রংপুর বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে ১ হাজার ৯৭০টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।