crimepatrol24
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ২:৫৬ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জুন ১৯, ২০২২ ১০:৩৬ অপরাহ্ণ
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়

সম্পাদকীয়

একটি দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেকটি সচেতন নাগরিকেরই প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে দেশের শিক্ষাবিদদের নানামুখী গবেষণারও কমতি নেই। কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল কোনোভাবেই অর্জিত হচ্ছে না। তাহলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের করণীয় কী সে বিষয়ে সবাইকে কমবেশি ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা মনে করি, বর্তমান শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেগুলো এ স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়স, সময়, সামর্থ্য ও মেধানুসারে পঠিত বইয়ের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে এটি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রথমেই শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা কমিয়ে আনতে হবে। আমরা যদি গভীরভাবে লক্ষ করি, তাহলে দেখতে পাব- একজন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীকে সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে হয়, হাত-মুখ ধুয়ে যার যার ধর্মীয় কাজগুলো করতে হয়। এক্ষেত্রে তার প্রায় ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। অর্থাৎ ৬.৪০ টা বেজে গেল। এরপর গোসল করে নাস্তা খেতে প্রায় ৩০ মিনিট লেগে যায়। এবার ৭টা ১০ মিনিট বেজে গেল। স্কুলে যাওয়ার জন্য নাস্তা সেরে পোষাক পরে স্কুলে যেতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। অর্থাৎ ৭টা ৫০ মিনিট বেজে গেল। সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত গণিত বিষয়ে প্রাইভেট এবং ৯ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে হয়। এরপর সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম। আবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে গ্রুপের কোনো বিষয়ে প্রাইভেট। এগুলো শেষ করে যখন একজন শিক্ষার্থী বাসায় ফিরে আসে, তখন প্রায় সন্ধ্যা ৬ টা বেজে যায়। সেসময় ওই শিক্ষার্থী স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। অনেকসময় ধর্মীয় কাজগুলো করাই হয় না। তারপরেও আবার সন্ধ্যা ৭ টায় স্কুলের কমপক্ষে ১০ বিষয়ের পড়া তৈরি করার জন্য অভিভাবক এবং শিক্ষকের ভয়ে ওই শিক্ষার্থীকে মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই পড়ার টেবিলে বসতে হয়। ৭ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী পড়া তৈরি করতে পারে মাত্র ২ টি বিষয়ের।এরপর রাতের খাবার এবং ধর্মীয় উপাসনার জন্য ব্যয় হয় প্রায় ৪০ মিনিট। অর্থাৎ ৮.৪০ টা বেজে গেল। যদি একজন শিক্ষার্থী রাত ১০ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবেও পড়াশোনা করে তাহলে সে সময় পায় মাত্র ২ ঘণ্টা। এই ২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সে পড়া তৈরি করতে পারবে সর্বোচ্চ ৩ টি বিষয়ের। কারণ পড়ার ফঁকে তো কিছুটা সময় বিরতিরও প্রয়োজন। তাহলে রাতের বেলা ওই শিক্ষার্থী মোট ৫ টি বিষয়ের পড়া তৈরি করতে পারল। বর্তমান কারিকুলাম অনুসারে ১০টি বিষয়ের মধ্যে অধরাই থেকে গেল আরও ৫ টি বিষয়। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ৩০ মিনিট করে সময় বরাদ্দ করা হলেও ১০ টি বিষয়ের পড়া তৈরি করতে তার মোট সময়ের প্রয়োজন ৫ ঘণ্টা। কিন্তু দেখা গেল, সে পড়ার জন্য সময় পেল মাত্র ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট। শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য যে খেলাধুলা এবং বিশ্রামের প্রয়োজন তাতো বিবেচনাই করা হলো না। এমতাবস্থায়, বিরামহীন রুটিন ওয়ার্ক করে একজন শিক্ষার্থী কতদিন সুস্থ থাকতে পারে তা বিধাতাই ভালো জানেন। আসলে শিক্ষার্থীদের উপর এভাবে বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে এবং পড়াশোনার জন্য সার্বক্ষণিক চাপ সৃষ্টি করে আমরা তাদের উপর কতটা অমানবিক কাজ করছি তা কি কখনো ভেবে দেখেছি ? না আমাদের সেবিষয়ে ভাবার সময় নেই। আমরা সবসময় চাই, আমাদের সন্তানেরা ভাল ফলাফল করতে হবে, প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হবে। একটু ভেবে দেখুন, একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়লে সে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা তো দূরের কথা, কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই করতে পারবে না। আমরা মনে করি, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষার্থীদের পঠিত বইয়ের সংখ্যা কমিয়ে ৬ টিতে আনা যেতে পারে। বিষয়গুলো হলো- ১. বাংলা, ২.ইংরেজি ৩. গণিত ও যুক্তি ৪. বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ৫. ধর্ম এবং ৬. স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। প্রয়োজনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মৌলিক ধারণাগুলো উপরিউক্ত বিষয়গুলোর মধ্যেই রাখা যেতে পারে। এছাড়া শ্রেণি পাঠদানে প্রতিটি বিষয়ে ক্লাসের স্থায়িত্ব হবে ৪০ মিনিট। একজন শিক্ষককে দৈনিক দুইটি ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে ক্লাসের পড়া শিক্ষক ক্লাসেই শেষ করে দিতে পারেন। বাসায গিয়ে শিক্ষার্থীরা সেগুলো শুধু রিভাইজ করবে। এভাবে শিক্ষা কার্যক্রমকে সাজাতে পারলে কোনো শিক্ষার্থীর ক্লাসের বাইরে গিয়ে প্রাইভেট পড়ারও প্রয়োজন হবে না। আর এ সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হলে একজন শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরেও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আর সেজন্য শিক্ষকদেরও মানসম্মত পারিশ্রমিক দিতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষাব্যবস্থায় বিরাজমান সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর করে সকল এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে যাতে শিক্ষক তার পেটের জন্য অন্য কোনো পেশায় নিয়োজিত হতে না হয়। শিক্ষক তার পর্যাপ্ত সুযোগ- সুবিধা পেলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সবসময় ভাববে কীভাবে শিক্ষার্থীরা সহজে পড়া আয়ত্ব করতে পারে। আর এ পেশায় যখন পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকবে তখন মেধাবীরাও শিক্ষকতার পেশায় ঝুঁকবে। শ্রেণি কার্যক্রম সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। তাহলে একজন শিক্ষার্থী দুপুরে বাসায় গিয়ে দুপুরের খাবার সেরে একটু বিশ্রাম করার সুযোগ পাবে। এরপর বিকেল বেলা একটু খেলাধুলা বা বিনোদনের সুযোগ পাবে। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত (খাবার দাবার ও ধর্মীয় উপাসনার সময় বাদ দিয়ে) কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় পেলে ৪ টি বিষয়ে পড়া তৈরি করতে সক্ষম হবে। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ও ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় পেলে বাকি ২ টি বিষয়ের পড়া সহজেই তৈরি করতে পারবে। আর তাহলেই শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

তাই আমরা মনে করি, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষে সরকারের উচিত উপর্যুক্ত বিষয়গুলো বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

কেএমপি’র অভিযানে মা-দ-ক-সহ ১ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রংপুর সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেনা বিএনপি

রংপুর সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেনা বিএনপি

মানিকছড়িতে আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত ভাই-বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু

রংপুরের নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

চলমান যুদ্ধে সাধারণ জনগণের পাশে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান পিপিএম

হোমনায় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব খাত থেকে বেতন-ভাতা প্রদানের দাবিতে কর্মবিরতি পালন, সব নাগরিক সেবা বন্ধ

ময়মনসংহের গৌরীপরে চেক জালিয়াতির অভিযোগে অফিস সহকারী বরখাস্ত

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মধুপুর বহুমুখী মডেল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল, পাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ

ডোমারে জামিরবাড়ী একরামিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাদ ঢালাই