মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর :
মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয়ধারী প্রতারক আতিকুর রহমানের শাস্তির দাবিতে আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার বেলা ১২ টায় রংপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সহকারি কমিশনার (গোপনীয়) মাহমুদ হাসান মৃধা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক পলাশ কান্তি নাগ, সাংস্কৃতিক কর্মী নাসির উদ্দিন সুমন, সাংবাদিক সাইফুল্লাহ খাঁন,নাট্যব্যক্তিত্ব নিজামুল ইসলাম বাবলু, সংবাদকর্মী সুভাষ রায়, শিক্ষানবিশ আইনজীবী স্বপন রায় প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- অসহায় মানুষের সেবা করার অযুহাতে ‘ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’ নামে সরকারি অনুমোদনহীন একটি ভুয়া সংগঠন ২০১৭ সাল থেকে সারাদেশে বিভিন্নভাবে নিরীহ মানুষদের সাথে ভয়াবহ প্রতারণা করে চলেছে। অনেক পরিবারকে পথে নামিয়েছে অভিযুক্ত প্রতারক চক্রটি।
এই প্রতারক সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ১। আতিকুর রহমান @ ঘটক আতিক (৪০), পিতা : হাবিবুর রহমান (চৌকিদার), সাং- ছোট শিবেরচর, থানা- গলাচিপা, জেলা- পটুয়াখালী। আতিকুর রহমান নিজেকে মানবাধিকার চেয়ারম্যান ও তদন্ত কর্মকর্তা পরিচয়ে রাজধানীর মিরপুর-১০ বুশরা ক্লিনিকের ৫ম তলার ঠিকানা ব্যবহার করে ফেসবুকের মাধ্যমে গড়েছেন প্রতারক সিন্ডিকেট। নারীদের ছবি ও নামে একাধিক ফেইক ফেসবুক আইডিও রয়েছে তার। অপরাধ অনুসন্ধানের নামে তদন্ত কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজি, প্রতারণা করে গ্রামের নিরিহ একাধিক নারীকে কথিত হুজুর দিয়ে প্রতারণার বিয়ে, আইডি কার্ড বিক্রির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, জমিজমা উদ্ধারের নামে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া সহ সরকার বিরোধী গুজব রটায় এই প্রতারক সিন্ডিকেট। এমনকি মিথ্যা ও ভুয়া অভিযোগ দাখিল করে থানা পুলিশসহ প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। গুগলে ‘ডিজিটাল প্রতারক আতিকুর রহমান’ সার্চ দিলেই এই প্রতারক চক্রের অপকর্ম পাওয়া যায়। পুলিশ, র্যাব ও সিআইডির কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয়ধারী আতিকুর রহমান সারাদেশে প্রতারণা এবং চাঁদাবাজি করে আসছে। প্রতারক চক্রের প্রধান আতিকুর রহমানের প্রতারণার ফোন রেকর্ড (অডিও) ফেসবুক সহ ইউটিউবে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
ভুয়া ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রমাণসহ প্রতারক আতিকুর রহমানের মুখোশ উন্মোচন করে ক্রাইম পেট্রোল২৪.কম সম্পাদক ও প্রকাশক মো. ইব্রাহিম খলিল ও সাংবাদিক মো. নজরুল ইসলাম দয়াসহ যে সকল সাংবাদিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেছেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়ে আসছে প্রতারক আতিকুর রহমান ও তার সহযোগী চক্র। প্রতারক আতিকের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারাদেশে একাধিক জিডি ও মামলা রয়েছে।
স্মারকলিপিতে ডিজিটাল প্রতারক চক্রসহ ভুয়া মানবাধিকার সংগঠনের কথিত চেয়ারম্যান অভিযুক্ত প্রতারক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানানো হয়।