আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রচারণা।ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচনায় উঠে এসেছেন ৮নং আউশনারা ইউনিয়নের গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের কন্ঠস্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুস সালাম।দেশের মানুষের জন্য যিনি জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন আজ আবার তাকে ভোট যুদ্ধে নামতে হয়েছে। এটা দেশ ও জাতির কাছে কতটা লজ্জাজনক তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়। মধুপুর উপজেলা জুড়ে এবারে ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে একটি মাত্র প্রার্থী যিনি জীবন বাজি রেখে নিজের পরিবারের কথা না ভেবে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁ’পিয়ে পড়েছিলেন। যুদ্ধকালীন সময়ে পাক-হানাদার বাহিনী তার ভাইকে নি’র্মমভাবে হ’ত্যা করেছিলো এবং তার মাকে অত্যাচার করেছিলো। দুই দুইবার তার বাড়ি লু’টতরাজসহ পু’ড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি জানান, আমি নৌকাকে ভালোবেসে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। আজ সেই নৌকা প্রতীক আমাকে দেওয়া হয় নাই ,তাই মানুষের ভালোবাসা রক্ষায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।
আমার ভালোবাসার ডাকে সারা দিয়ে আজ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ মধুপুর শাখার সকলেই ছুটে এসেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের সন্তানেরা আজ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান খোশনবীশ জানান, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা আজ একত্রিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুস সালাম সাহেবের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাই এই মধুপুরের ১৫ই জুনের ইউপি নির্বাচনটি যেন সুষ্ঠুও নিরপেক্ষভাবে হয়। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সেই উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ আয়োজিত এক বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন আউশনারা ইউনিয়নের শাইলবাইদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মোটের বাজার চত্বরে গিয়ে সমবেত হয়। উক্ত পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মধুপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহবায়ক ইমরান হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার সাব্বির আহমেদ, সদস্য সচিব লাল মিয়া প্রমুখ।