মো. বাবুল রানা, জেলা প্রতিনিধি, ভোলা:
জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নারীদের মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে স্কুলপর্যায়ে শুরু হলো এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। টিকা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক।
ভোলার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল,ইউনিসেফ বরিশাল ফিল্ড অফিসের জোনাল হেলথ অফিসার ডা. মো. আহসানুল ইসলাম,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ছালেহ উদ্দিন, সাংবাদিক অমিতাভ রায় অপু, অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রা’ণঘাতী এক রোগ। প্রতি বছর দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী এ রোগে মারা যাচ্ছেন। টিকার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এইচপিভি টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এর সফল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও সম্পন্ন হয়েছে।
আগামীতে দেশের সব নারীদের এই টিকার আওতায় আনা হবে। যার মধ্য দিয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যুও কমে আসবে। নারীদের সুরক্ষা দিতে স্কুল পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ধাপে ধাপে সবাইকে এই টিকার আওতায় আনা হবে।
এসময় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের বিষয়ে সব বয়সী নারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি জেলার ৫২৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে এই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি বা সমমানে অধ্যয়নরত এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কি’শোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে।
ভোলায় এক লাখ ২১ হাজার ৫৮০ জন কিশোরীকে প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। ভোলার সাত উপজেলায় ৫২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই টিকা প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের (গ্যাভি) সহায়তায় এ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এইচপিভি টিকাদানের মাধ্যমে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব।
২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এইচপিভি টিকা দেয়া হবে। এইচপিভি টিকাদানে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও রেজিস্ট্রেশনে সার্বিক সহযোগিতা করছে সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ ও মনপুরা মানব সেবা সংগঠন।