ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
আগামীকাল সোমবার গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তায় নিয়োজিত অফিসার ও ফোর্সদের ব্রিফিং করেছেন কেএমপি’র কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
আজ রোববার কেএমপি’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ১২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রি. সকাল সাড়ে ১০ টায় কেএমপি‘র বয়রা পুলিশ লাইন্স মাঠে আগামী ১৩ নভেম্বর, সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা এঁর খুলনায় আগমন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ডিউটিতে মোতায়েনকৃত অফিসার ও ফোর্সের উদ্দেশে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানের শুরুতে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে করণীয়, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) অতিঃ ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা ডিউটি পোস্টের ধরণ ও ডিউটি বণ্টন এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস অ্যান্ড সাপ্লাই) অতিঃ ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত এম এম শাকিলুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; নিরাপত্তা ডিউটির সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার শত্রু কতিপয় ঘা’তকের নির্মম বু’লেটের আ’ঘাতে শহিদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। একই সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স’শস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে শহিদ সকল পুলিশ সদস্যসহ ত্রিশ লক্ষ শহিদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে স’ম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা খুলনা আসার জন্য সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, বদান্যতা এবং দূরদর্শিতার কারণে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি এবং জনবান্ধব স্মার্ট পুলিশিং বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় জন্য পুলিশ কমিশনার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। নিরাপত্তা ডিউটিতে মোতায়েনকৃত অফিসার ও ফোর্সকে উদ্দেশ করে পুলিশ কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ডিউটিকালীন করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ডিউটিতে প্রত্যেককে শতভাগ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীলতার সাথে ডিউটি পালন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সড়ক পথের পাশাপাশি নৌ পথের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নৌ পুলিশকেও সতর্কতার সাথে ডিউটি পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সবশেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে আগামীকালকের ডিউটি সম্পন্নের প্রত্যাশা জানিয়ে বক্তব্য সমাপ্ত করেন। বক্তব্য প্রদান শেষে পুলিশ কমিশনার নিরাপত্তা ডিউটিতে মোতায়েনকৃত অফিসার ফোর্সের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং স্ব-স্ব ডিউটি পোস্টে সঠিকভাবে পালনের আহবান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন-সহ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, সহকারি পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স।