
আল মাসুদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে ইটভাটার ধোঁয়ায় পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। নবায়ন ছাড়াই চলছে ইটভাটা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ছাড়া পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে দেদারছে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে এসব ইটভাটায়।
জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যে দেখা যায়, পঞ্চগড়ে মোট ইটভাটার সংখ্যা ৩৭ টি। এর মধ্যে ১ টি বন্ধ থাকলেও ৩৬ টি ইটভাটার মধ্যে ৪ টি নবায়ন করেছে বাকি ৩২ টি ভাটা আইনকে বৃধা বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চালিয়ে আসছে। ২৫ টির লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল।বাকি ১২ টি ইটভাটার তথ্য থাকলেও কোনো লাইসেন্স গ্রহণ করেনি ভাটা কর্তৃপক্ষ। অজ্ঞাত কারণে চুপচাপ থাকছে প্রশাসন বছরে ১/২ বার অভিযান করলেও পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
দেবীগঞ্জ উপজেলার ১৮ টি ইটভাটার মধ্যে লাইসেন্স রয়েছে ১৩ টির, ৫ টির কোনো লাইসেন্স নাই। ৬ টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এর মধ্যে ১৬ টি ইটভাটাই চলছে অনুমতি ছাড়া । মেসার্স লাইলা বিক্স বাগদহ চেংঠী হাজরাডাঙ্গা,হাফিজুল শালডাঙ্গা,সাঈদ শালডাঙ্গা,আনোয়ারুল প্রধান শালডাঙ্গা, মেসার্স বি বি ব্রিক্স দন্ডপাল,মেসার্স শাহিন ব্রিক্স দন্ডপাল, কোন কিছুই নেই ইটভাটার কাঠখড়ি পুড়িয়ে চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম।
আটোয়ারী উপজেলার ১১টি ভাটার মধ্যে ৭ টির লাইসেন্স নেওয়া হয়। বাকি ৪ টির কোনো লাইসেন্স নেই।তবে লাইসেন্স পরে আর নবায়ন করা হয়নি কোনটির, চলছে এভাবেই। ৫ টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলেও মেসার্স এম আর বি ব্রিক্স বলরামপুর , মেসার্স বি কে বি ব্রিক্স বলরামপুর, এ এস ব্রিক্স লক্ষীদার, মেসার্স টি এ এইচ ব্রিক্স রঙ্গীয়ানি হাট বলরামপুর,কোন কিছুই নেই ইটভাটাগুলোর।
বোদা উপজেলার ৫ টি ইটভাটার মধ্যে ৪ টির লাইসেন্স নেওয়া হয়। তারা পরে আর সেটি নবায়ন করেনি। অপর ভাটা এম কে ব্রিক্স ভাসাইনগর এলাকার কোনো লাইসেন্স বা ছাড়পত্র গ্রহণ করে নাই।
সরেজমিনে দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর, সাদ্দামের মোড়ে এম আর বি ব্রিক্স ড্রাম ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন কাঠ খড়ি। ভাটার ওপরে ও চারপাশে কাঠ আর ডালপালা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ইঞ্জিনচালিত লরিতে করে কাঠ আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। ইটভাটায় শিশুদের দিয়ে বানানো হচ্ছে ইট। ভাটার টিনের ছোট চিমনি দিয়ে বের হওয়া কালো ধোঁয়া চারদিকে দূষণ ছড়াচ্ছে ,পুড়ছে গাছপালা।আশেপাশের গাছ পালা,কলার বাগান,ধানের বীজতলা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের দফতরে ঘুরে ও ব্যবস্থা নেয়নি।
এম আর বি ব্রিক্স স্বত্তাধিকারী মকবুল হোসেন বলেন, কোনটা বৈধ আছে এমনিতে চালানো সম্ভব না, ম্যানেজ করেই চলতে হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহানুল হক বলেন, নিয়ম না মানলে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।