crimepatrol24
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় বিকাল ৩:০৩ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

নীলফামারীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও খেলার মাঠ বিহীন নানা অ’নিয়মে জর্জরিত বিদ্যালয়টি কীভাবে এমপিওভুক্ত হলো ?

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ১০:০৪ অপরাহ্ণ
নীলফামারীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও খেলার মাঠ বিহীন নানা অ’নিয়মে জর্জরিত বিদ্যালয়টি কীভাবে এমপিওভুক্ত হলো ?

নীলফামারী রিপোর্টার।। শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেনা,শিক্ষার্থী নেই,খেলার মাঠ নেই,কাগজে-কলমে জমি থাকলেও নেই সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি দখলে।হয়না নিয়মিত পাঠদান,স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নেই,নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা,ছিলো বিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ,নিয়মিত নবায়ন নেই,এমপিওভুক্তির শর্ত মানার যেন কোনো বালাই নেই। নানা অ’নিয়মে জর্জরিত নীলফামারীর ডিমলায় জামায়াতের এক সাবেক সংসদ সদস্যের জামাতা’র স্থাপিত মডার্ণ নিম্ন মাধ্যমিক নামের এমনই একটি বিদ্যালয় এমপিওভুক্তির অভিযোগ উঠেছে।গত ছয় জুলাই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম এমপিওভুক্তির নতুন তালিকায় দেখতে পেয়ে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।এমনকি ওই এলাকার(বিদ্যালয় সংলগ্ন)এলাকাবাসীর কাছেও বিষয়টি দুঃস্বপ্নের মতই।
সরজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে একদিন অষ্টম শ্রেণির মাত্র সাত শিক্ষার্থীর দেখা মিললেও সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে কোনো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর দেখা মেলেনি।এ সময় দেখা যায়, টিনশেডের লম্বা একটি ঘরে টিনের পার্টিশন দিয়ে চার ভাগে বিভক্ত করে করা হয়েছে চারটি কক্ষ।বিদ্যালয়ের সামনের অংশের দুই তৃতীয়াংশ স্থানে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ঠিকাদার হওয়ায় সেখানে রাখা হয়েছে তার ঠিকাদারি সরঞ্জাম।বিদ্যালয়টির প্রবেশের রাস্তায় তোলা হয়েছে ঠিকাদারি মালামাল রাখার জন্য টিনশেড ঘর।কাগজে-কলমে জমি ৫০ শতাংশ দেখানো হলেও বাস্তবে এই বিদ্যালয়ের দখলে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি নেই।খেলার মাঠের পরিবর্তে সেখানে রয়েছে পরিবেশ ধ্বংসকারী ইউক্যালিপটাস গাছের বাগান।বিদ্যালয়ে মাত্র টিনে ছাওয়া একটি ভাঙা অস্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট থাকলেও তার দরজা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে পলিথিন।একটি টিউবওয়েল গোড়া পাকা ছাড়াই কোনো রকমে বসানো হয়েছে নতুন করে।
এসময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা অফিস সহকারী অনিল কুমার রায়ের কাছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী নেই কেনো জানতে চাইলে তিনি জানান,প্রধান শিক্ষক সকালে প্রতিষ্ঠানে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে গেছেন।এ ছাড়াও তিনজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে সবাই মিলে এক অসুস্থ শিক্ষার্থীকে দেখতে গেছেন।
যদিও ওইদিন বিদ্যালয়ে এসে স্বাক্ষর করে চলে যাওয়া এক শিক্ষক বলেন,তিনজন শিক্ষক ও কিছু শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে এসেছিল। আমি দুপুর দেড়টায় বিদ্যালয় থেকে নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়ে ফিরে এসে দেখি বিদ্যালয়ে কেউ নেই। তাই আমিও বাড়িতে চলে এসেছি। হাজিরা খাতা ও শিক্ষার্থীর তালিকা দেখতে চাইলে ওই অফিস সহকারী জানান, আলমিরার চাবি রয়েছে প্রধান শিক্ষকের কাছে। তিনি ছাড়া তা দেখানো অসম্ভব।
 
জানা গেছে,২০০১ সালে নীলফামারী-৩ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরীর জামাতা ঠিকাদার আসাদুজ্জামান উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ গয়াবাড়ি খামাতপাড়ায় তার বাড়ি সংলগ্ন বড় ভাই মোখলেছুর রহমানের ৫০ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়টি স্থাপিত দেখান।যদিও ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি প্রতিষ্ঠানটির দখলে নেই।পরে নিয়ম ব’হির্ভূতভাবে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি বানানো হয় সেই বড় ভাইকে।যিনি অদ্যাবধি বিদ্যালয়টি পরিচালনা কমিটির সভাপতি।বিভিন্ন সময়ের ন্যায় আবারও গ্রামের কিছু দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়ানোর নামে কাগজে-কলমে শ্রেণি কার্যক্রম সচল দেখিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন এসব শিক্ষার্থী তাদের বিদ্যালয়ের। করোনা ভাইরাস শুরুর অনেক আগে থেকেই দীর্ঘ বছর বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় নিয়মিত নবায়নও করা হয়নি।প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা যে যার মত খেয়াল-খুশিমতো হাজিরা খাতায় একসাথে দীর্ঘদিনের স্বাক্ষর একদিনেই করেন!
সংশ্লিষ্টদের দাবি মতে,বিদ্যালয়টিতে সাতজন শিক্ষকসহ নিয়োগপ্রাপ্ত একজন অফিস সহকারী,একজন নাইট গার্ড ও একজন পিয়ন রয়েছেন।তবে বাস্তব অনুসন্ধানে বিদ্যালয়টি স্থাপনের সময়ে ও পরে পূর্বের তারিখে নতুন করে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন বর্তমানে সাতজন ও অফিস সহকারী একজন।তারা প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বোন-ভগ্নিপতিসহ অধিকাংশই তাদের নিকটতম আত্মীয়-স্বজন।তাদের মধ্যেই কেউ কেউ নন এমপিও এবং বর্তমানে সদ্য ঘোষিত একাধিক এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিয়োগ প্রাপ্ত রয়েছেন।আবার দীর্ঘ দিন ঢাকায় ছিলেন ও দীর্ঘদিন দেশের বাইরে ছিলেন এমন শিক্ষকও রয়েছেন বিদ্যালয়টিতে! আর এতসবের পরও মন্ত্রনালয়ে সখ্যতা থাকার সুবাধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই বিদ্যাযলয়টি এমপিওভুক্তির পিছনে আরেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুপরিচিত এক শিক্ষক শীর্ষ ভূমিকায় ছিলেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের তিন শ্রেণি মিলে শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ জন।শিক্ষকদের মধ্যে কাউকে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর পরই নিয়োগ দেয়া হলেও আবার কাউকে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দীর্ঘ বছর পর পূর্বের তারিখেই(ব্যাকডেটে)। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির বোন-ভগ্নিপতিসহ অধিকাংশই তাদের নিকটতম আত্মীয়-স্বজন।
প্রধান শিক্ষক ও তার বড় ভাই কোটিপতি হওয়ার সুবাধে বিদ্যালয়টির প্রতি তাদের তেমন আগ্রহ ছিলনা। বিদ্যালয়টির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় দেশ-বিদেশে অন্য পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
একাধিক এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,এ রকম একটি নামে মাত্র বিদ্যালয় এমপিওভুক্তির কথা শুনে আমরা অবাক হয়েছি।বিষয়টি এখনও আমাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মত ই।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ঠিকাদার আসাদুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিদ্যালয় ২০০১ সালে স্থাপিত হওয়ার পর ওই সালেই সকল শিক্ষক ও কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।একই শিক্ষার্থী অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি থাকলে তা তাদের ব্যাপার।বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে তিন শ্রেণি মিলে ১৫৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।গ্রামের শিক্ষার্থী হওয়ায় তারা হয়তোবা কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকার কারণে বিদ্যালয়ে কম আসে।
কোন শ্রেণিতে কতজন শিক্ষার্থী রয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,খাতা দেখে বলতে হবে! সাংবাদিকরা যেভাবে বিরক্ত করছে আমিও সাংবাদিকতার কার্ড করে তাদের বিরুদ্ধে লিখব।
বিদ্যালয়টি পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন,শিক্ষক-কর্মচারি ২০০৩ সালেই এক সাথে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা দীর্ঘ বছর থেকে বেতন ছাড়াই রয়েছে। তাই তাদের গাফিলতিও রয়েছে।বিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও স্টাফ রয়েছে তা আমি না দেখে বলতে পারবোনা।তবে বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ না থাকলেও শিক্ষার্থীরা পাশের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই খেলে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম গুরুত্বর অসুস্থতা জনিত কারণে ছুটিতে থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার আমির বোরহান বলেন,এসব প্রশ্নের উত্তর উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্যার ভালো দিতে পারবেন।আমাকে ডিইও স্যার বিদ্যালয়টির খোঁজ নিতে বলেছে আমি অচিরেই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করব।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(ডিইও)শফিকুল ইসলাম বলেন,এমপিওতে আমাদের হাত নেই।তারা(বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ)হয়তোবা অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করে মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করে এটা করেছেন।বিষয়টি আমার জানা ছিলনা।আমি আমার অফিসারদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলব।
Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

ব্যাপকহারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের প্রচার চালাতে হবে : ডিসি জামালপুর

জগন্নাথপুরে গণধোলাইয়ের শিকার ২ ছিনতাইকারী

কেএমপি’র অভিযানে মাদক, গুলি ও নগদ অর্থসহ ১৬ মাদক কারবারি গ্রেফতার

দুর্গাপুরে বন্যার্তদের মাঝে আওয়ামীলীগের ত্রাণ বিতরণ

দুর্গাপুরে বন্যার্তদের মাঝে আওয়ামীলীগের ত্রাণ বিতরণ

মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলায় ঝিনাইদহের হলিধানী ইউনিয়নের আ’লীগ সভাপতি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-২

রাজধানীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল

কেএমপি ডিবি’র অভিযানে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় হোটেল মালিকগণ আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব

কুষ্টিয়ায় হোটেল মালিকগণ আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব

রংপুরে বিএনপির বিক্ষোভ

পাবনা সুজানগরে গুড়ের বাজারেও সিণ্ডিকেট, বিপাকে সাধারণ মানুষ!