crimepatrol24
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১০:০১ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

নীলফামারীতে পিআইও-দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানরা যেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই!

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
জুলাই ১৪, ২০২২ ৯:৪৪ অপরাহ্ণ
নীলফামারীতে পিআইও-দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানরা যেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই!

নীলফামারী রিপোর্টার।। নীলফামারী সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভিজিএফের ৫৫ হাজার ২ শত ৩৩টি(১০ কেজি চাল)কার্ডের বিপরীতে ৫২২ দশমিক ৩৩ মেট্রিক টন চাল বিতরণে ব্যাপক অ’নিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও)রিয়াজুল ইসলাম ও বেশকিছু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় পিআইও এবং দু’র্নীতিবাজ চেয়ারম্যানরা চো’রে-চো’রে মাসতুতো ভাই এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়,গত ৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইদুল আজহা উপলক্ষে সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভার্নারেবল ফিডিং গ্রুপ (ভিজিএফ)এর আওতায় ১০ কেজি করে১৫টি ইউনিয়নে ৫৫ হাজার ২শত ৩৩টি ভিজিএফ কার্ড অসহায় দুস্থদের মাঝে বিতরণ করে থাকলেও বেশ ক’টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কালো বাজারে ভিজিএফের চাল বি’ক্রির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে চেয়ারম্যান প্রতি ২০ হাজার টাকা কথিত সাংবাদিকদের দেবার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিকট জমা রাখেন। ভিজিফের চাল বিতরণকালে কোন সাংবাদিক ইউনিয়ন পরিষদে যেন না যায় তার জন্য সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও)রিয়াজুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা।
গত ৭ জুলাই ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় ৮নং পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদকর্মীরা গেলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বলেন, কথিত সাংবাদিকদের জ্বালায় আমরা অস্থির হই।এসব ধরার জন্য আমরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও)রিয়াজুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছি।তিনি তার পিসির সাথে আমাদের ১৫টি ইউনিয়নের ২০ হাজার টাকা করে ৩ লক্ষ টাকা বিতরণ করবেন।
৯নং ইটাখোলা ইউনিয়নে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের সময় ইউপি সদস্য মোঃ রফিক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জা’ল করে শতাধিক স্লিপ কালো বাজারিদের হাতে দিয়ে চাল উত্তোলন করেন।এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ্ ফকির বলেন,এ কাজটি আমাকে বিপদে ফেলার জন্য করা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত আছেন।আমরা রফিক এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বেশ কিছু কার্ড উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন।৫নং টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল কালো বাজারে বি’ক্রির অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুশরত আলী শাহ্ ফকির জানান, কিছু সাংবাদিকের জন্যে হামাক চাউল চু’রি করি বেচের লাগে তা ছাড়া আমরা কেনে চাউল চু’রি করমো।১৩নং চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম রেজার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের ভিজিএফ কার্ডের কোটা না মানায় ও একাই কার্ড বিতরণ করায় সংরক্ষিত
মহিলা ও সাধারণ সদস্য ৭জন লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে চড়াইখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম রেজা বলেন,মেম্বরেরা ঠিকমত কার্ড বিতরণ করেন না।বেশির ভাগ চাল কা’লো বাজারে বি’ক্রি
হয়।এ কারণে কিছু জায়গায় আমি নিজেই ভিজিএফের কার্ড বিতরণ করেছি।২নং গোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ চাল বিতরণের করার সময় ভিজিএফ কার্ডের চাল না পেয়ে শতাধিক ভুক্তভোগী অ’নিয়মের অভিযোগ তোলেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
১৫নং লক্ষীচাপ ইউনিয়নেও কা’লো বাজারে চাল বি’ক্রির অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন,কথিত সাংবাদিকদের ঠে’কাতে আমিই প্রস্তাব করেছিলাম পিআইও কে ২০ হাজার করে সব চেয়ারম্যানরা টাকা দিয়ে একটা শৃঙ্খলা ফিরাতে কিন্তু সবাই একমত নয়।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম চেয়ারম্যানদের নিকট টাকা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টাকা নিয়েছিলাম তবে সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি। তবে মধ্য রাত পর্যন্ত সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ে কথিত সাংবাদিকদের মাঝে আউট সোর্সিং এর কর্মরত মোঃ লিয়াকত আলী ও সায়েদ ইসলামকে অর্থ বিতরণ করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম জানান, সদর উপজেলায় চেয়ারম্যানদের চাল চু’রির বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি। আপনারা চেয়ারম্যানদের ধরিয়ে দিন আমি জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কী কারণে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ২০ হাজার করে টাকা নিলেন সে বিষয়টি আমি জানি না। তবে তিনি যদি নিয়ে থাকেন তাহলে তাকে বলব এই মুহুর্তে যেভাবে টাকা নিয়েছেন ঠিক সেভাবেই টাকাটা ফেরত দিবেন।
Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

কেএমপি’র অভিযানে ১০৬ লিটার ম’দসহ ৪ মা’দক কারবারি গ্রেফতার

ডোমারে উপজেলা চেয়ারম্যান নারী দলের ফুটবল টুর্নামেণ্টের উদ্বোধন

নোটিস

কেএমপি’র অভিযানে মাদকসহ ৪ ব্যবসায়ী গ্রেফতার

চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবিতে বাণিজ্যিক হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বৃক্ষরোপণ

ডিমলায় তালাবদ্ধ ট্রাংকে ফেলে যাওয়া অর্ধগলিত লাশের রহস্য উদঘাটন, বাবা-মাসহ গ্রেপ্তার ৪

করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

জগন্নাথপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায়

ঢাবিতে ভর্তি জালিয়াতির দায়ে ৬৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কৃার

নাসিরনগরে উদ্যোগে মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ ও লিফলেট বিতরণ