ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত শিক্ষক-কর্মচারী আইনের আওতায় আসুক সেটা আমরাও চাই, তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে কোনো প্রকার বৈশম্যের শিকার না হয় সেদিকে সকলকে দৃষ্টি রাখতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম(বাবেশিকফো) এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দু’র্নীতিবাজ প্রতিষ্ঠানপ্রধান , কমিটি বা প্রভাবশালী শিক্ষক-কর্মচারী লু’টতরাজ, সহকর্মীর উপর অন্যায় ও জুলুম করেছে ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অধিকাংশ দুর্নীতিবাজ পালিয়েছে। এদিকে সরকার কমিটির সভাপতি পরিবর্তন করেছে যদিও আমাদের দাবি কমিটি প্রথা বাতিল করা। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে দুর্নীতিবাজদের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি, পারিবারিক বা রাজনৈতিক আক্রোশেও ঢালাওভাবে শিক্ষক-কর্মচারীগণকে বল প্রয়োগ করে রিজাইন করানো বা শারীরিকভাবে নি’র্যাতন বা অপমানিত করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ও প্রকৃত অপরাধীরা নিজকে আড়াল করার সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচরীগণকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে প্রকৃত দু’র্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে সঠিক আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিতে গিয়ে যেন আরও একটি দুর্নীতি বা অন্যায়ের জন্ম না নিতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ও বাইরে সকল শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাবেশিকফো’র সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোনো নিরপরাধ শিক্ষক লা’ঞ্চনার শিকার না হয়। এক্ষেত্রে দলবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বাবেশিকফো নেতৃবৃন্দ সরকারের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। আমরা আশা করছি, বৈষম্য বিরোধী সরকার আমাদের বৈষম্য দ্রুত নিষ্পত্তি করে জাতীয়করণের ঘোষণা দিবেন। অন্যথায়, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সকলকে সাথে নিয়ে সাংবিধানিকভাবে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।