
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, নীলফামারী >>
নীলফামারীর ডোমারে ৩৬ তম শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক সোলায়মানের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকাল ১১টায় ডোমার সরকারি কলেজ চত্বরে কলেজের আয়োজনে এ মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে নীলফামারী জেলা বি,সি,এস সাধারণ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, নীলফামারী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ (রাষ্ট্র বিজ্ঞান) আনিছুর রহমান, ডোমার সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, চিলাহাটি সরকারি কলেজের প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) কানু চন্দ্র রায়, ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম বাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় নীলফামারী জেলা বি,সি,এস সাধারণ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম বলেন, অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। সন্ত্রাসী শান্ত ও সৈকতসহ তার সহযোগীদের বহিস্কার করা হোক। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বহিস্কার করা না হলে আমরা কলেজ প্রত্যাখ্যান করবো। উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর এইচ,এস,সি প্রথম বর্ষের ছাত্র শান্ত, সৈকদসহ তাদের সহযোগী ১৬-১৭ জন ডোমার সরকারি কলেজের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক (৩৬ তম বিসিএস) সোলায়মান আলীর সাথে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় তৃতীয় তলা থেকে মারতে মারতে নিচতলা একাডেমিক ভবনে নিয়ে আসে। এতে সোলায়মান আলী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষনিক ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এবিষয়ে প্রভাষক সোলায়মান আলী নিজে বাদী হয়ে কলেজপাড়া এলাকার মাছ বিক্রেতা লিটনের ছেলে শান্ত, ও ছোট রাউতা সাহাপাড়া এলাকার আনজারুল চৌধুরীর ছেলে সৈকদ চৌধুরী সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৬-১৭ জনকে আসামী করে ডোমার থানার মামলা নং ০৮, তারিখ-০৭-০৯-১৯ইং দায়ের করেন। এ ঘটনায় পশ্চিম চিকনমাটি দোলাপাড়ার নজরুল ইসলামের পুত্র নাজিমুল ইসলামকে (১৭) সন্দেহজনকভাবে সকাল ১১ টায় সরকারি কলেজ গেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং আাদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।