
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে মামলাবাজ আব্দুল জব্বারের অত্যাচারে নুর ইসলামের পরিবার আজ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পশ্চিম সোনারায় সরকার পাড়া গ্রামে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত সাবার উদ্দিনের ছেলে নূর ইসলাম ও আলাউদ্দিনের সাথে প্রতিবেশী মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে আব্দুল জব্বার ও তার ছেলে নুরনবীর জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সেই কারণে শত্রুতার জের ধরে জব্বার ও তার ছেলে নুরনবী মিলে নূর ইসলাম ও আলাউদ্দিনের পরিবারে লোকজনকে হেনস্তা ও হয়রানি করার জন্য থানা ও আদালত মিলে ৮টি মামলা দায়ের করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৮টি মামলার মধ্যে জমি সংক্রান্ত ৪টিতে ডিক্রী প্রাপ্ত হয় নূর ইসলাম। আদালতের পিটিশন মামলায় ৩টিতে নূর ইসলাম ও আলাউদ্দিনের পক্ষে রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক। বর্তমানে থানার ২টি মামলা চলমান আছে, ১টি গ্রাম আদালতে।
ভুক্তভুগি আলাউদ্দিন জানান, একের পর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করায় আমাদের ২পরিবারের নুর ইসলাম, আজিজুল, আনিছুর, মাহাতাব, মামুন, হাচানুর, আর্জিনা বেগম, রুমি আক্তার, হাবিবা আক্তার মুক্তাসহ ১০ থেকে ১২ জন মহিলা ও পুরুষকে আসামী করে একাধিক ব্যক্তিকে হাজত খাটিয়েছে মামলাবাজ জব্বার। দীর্ঘদিন যাবত এতোগুলো মামলা চালাতে আমাদের পরিবার আজ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। তাদের দেয়া মিথ্যা মামলার কবল থেকে প্রতিবেশী আত্মীয়, শিক্ষক, বৃদ্ধ, নারীরাও রেহাই পায়নি।
মামলার বিষয়ে সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক, ভীষণ অন্যায় ভাবে তারা এতগুলো মামলা করেছে ওই পরিবারের ওপর। ১টি মামলা আমার পরিষদে পাঠিয়েছে আদালত আগামীকাল তারিখ আছে বিষয়টি আমি দেখছি।
এ বিষয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত দেওয়ানী আদালতের মামলার বিষয়ে আমার জানা নাই, তবে ঘটনার দিন মারামারি হয়েছে্ উভয় পক্ষের ২টি মামলা থানায় আছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলাবাজ আব্দুল জব্বারের কবল থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভুগী পরিবার।