আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
উত্তর জনপদের ৬০ দশকের সংগ্রামী ছাত্র নেতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মফিজার রহমান দুলালকে গণ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
নীলফামারী জেলা কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে সোমবার (৪ জুলাই) রাতে ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের সবস্তরের জনগণ কর্তৃক জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় বামুনিয়া কাচারিহাট এলাকয় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
কমরেড অধীর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও কমরেড প্রিন্স চাকলাদারের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি কমরেড আতিয়ার রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে এ্যাডভোকেট কমরেড তরুণী মোহন রায়, রফিকুল ইসলাম, রাজেন চন্দ্র রায়, ভবেন চন্দ্র রায়, মোজাম্মেল হক, সিতারাম রায়সহ ডোমার উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে মানবিক সাহায্য সংস্থা “আইমান- আরস-ইতিকা’র” পরিচালক রোকসানা রহমান বেবী, ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম বাবু, একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ, মোস্তাকিন রোমেল, বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সংবর্ধিত অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মফিজার রহমান দুলালকে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তার জীবনের আন্দোলন-সংগ্রাম ও মানবিক সাহায্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন অতিথিগণ।
আমন্ত্রিত অতিথি ডোমার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম বাবু তার বক্তব্যে বলেন, যে দেশে গুণীজনদের সম্মান করা হয় না সে দেশে গুণীজন জন্মায় না। যুগে যুগে সৃষ্টিকর্তা অনেক গুণী মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্যে আমাদের কমরেড মফিজার রহমান দুলাল দা ঠিক সেরকমই একজন ব্যক্তি। মানুষ কি খাবে, মানুষ কিভাবে চলবে এবং মানুষ কীভাবে তার অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে সে বিষয়টি নিয়ে তিনি সব সময় চিন্তা ভাবনা করেন। বিশেষ করে সরকারের দেয়া প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাটুকু নিজে না নিয়ে সবটুকু সমাজ উন্নয়নে গরিব, অসহায় মানুষের মাঝে দিয়ে এবং গরিব মোধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বামুনিয়া এলাকাবাসীর আপ্যায়নে আনন্দ প্রকাশ করেন, সকলকে মিলে মিশে দেশের সুনাম বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।