আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসাশিক্ষক আশরাফ আলী (৫৫) কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বত্তরা। অপরদিকে তার স্ত্রী ও সন্তান আহত।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাঝাপাড়া গ্রামে। সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত- আব্দুল আজিজের ছেলে বামুনিয়া ঘনপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাফেজ মাওঃ আশরাফ আলীর পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত- আব্দুস সামাদের ছেলে কারিমুল ইসলাম ও কহিরুল ইসলামের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে ঘটনার দিন শুক্রবার (২ অক্টোম্বর) বিকালে কারিমুলের ছাগল হাফেজ আশরাফ আলীর ধান ক্ষেত নষ্ট করতে থাকে। হাফেজ আশরাফ ছাগলটি তার ধান ক্ষেতে ধরতে গেলে কারিমুলের পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এসময় কারিমুল, কহিরুল ও রাজুসহ অনেকে মিলে হাফেজ আশরাফকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধরক মারপিট করে। হাফেজ আশরাফের স্ত্রী রাশেদা বেগম ও ছেলে আসাদুজ্জামান আল মাদানী বাবাকে বাচাঁতে এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষরা মািএবং ছেলেকেও মারধর করে। তাদের লাঠির আঘাতে রাশেদা বেগমের হাত ভেঙে যায়। অপরদিকে কারিমুল ধারালো দা দিয়ে হাফেজ আশরাফের মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় হাফেজ আশরাফ মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পথোচারীসহ এলাকাবাসী হাফেজ আশরাফ, তার স্ত্রী রাশেদা ও ছেলে মাদানীকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাফেজ আশরাফের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং রাশেদা ও মাদানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে, দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান হাফেজ আশরাফের পরিবার।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, আগে রোগী সুস্থ হোক, মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।