আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে চা’ঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র আরিফ হ’ত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার আসামিসহ দুইজন গ্রে’ফতার হলে তাদের থেকে এমন তথ্য জানতে পারে সিইআইডি। গ্রে’ফতাররা হলেন কহিনুর (৪০) ও আলমগীর (৪০)। অটোরিক্সা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় আরিফকে তারা হ’ত্যা করেন বলে সিআিইডিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
তিনি বলেন, ‘ডোমারে বাবার অটোরিকশা নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে বের হন আরিফ। এরপর থেকে সে নি’খোঁজ ছিল। নি’খোঁজের সাত দিন পর ডোমারের বড় রাউতা মাঝাপাড়া এলাকার একটি অব্যবহৃত গভীর নলকূপের ঘর থেকে তার ম’রদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি চা’ঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নি’হত আরিফ ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।’
ঘটনার নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরে আজাদ রহমান জানান, ‘ডোমার সরকারী কলেজ গেটের পাশে মাদ্রাসা মোড় থেকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানা এলাকায় যাওয়ার জন্য ১৫০ টাকা ভাড়ায় যাত্রীবেশে আরিফের অটোরিকশায় ওঠেন তারা। বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে দোলাবাড়ী নামে একটি নি’র্জন স্থানে যাওয়ার পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে আরিফকে অটোরিকশাটি থামাতে বলে। তখন অটোতে থাকা কহিনুর ও তার সহযোগী আরিফকে জো’রপূর্বক অটোরিকশা থেকে টে’নে-হেঁ’চড়ে নামিয়ে অটোটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আরিফ বাধা দিলে তাকে মা’রধর করতে থাকে ঘা’তকরা। একপর্যায়ে অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে ধা’রালো ছু’রি/চা’কু দিয়ে তার গলায় আ’ঘাত করে হ’ত্যা করে ম’রদেহটি পাশের অব্যবহৃত গভীর নলকূপের ঘরে মরিচের শুকনা গাছ দিয়ে ঢে’কে রেখে অটো নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে বন্ধু আলমগীরের সহযোগিতায় ৪৫ হাজার টাকায় অটোটি বিক্রি করে রুবেল।’
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘গ্রেফতার কহিনুর ইসলাম ওরফে রুবেলের বিরুদ্ধে ডোমার থানার একটি চু’রি মামলায় বিজ্ঞ আদালত দুই বছরের সশ্রম কা’রাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জ’রিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কা’রাদণ্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে আলমগীর হোসেন ওরফে আলমের বিরুদ্ধে নীলফামারী জেলার বিভিন্ন থানায় দ’স্যুতা ও চু’রির ছয়টি মামলা রয়েছে।’
গ্রেফতাররা হলেন কহিনুর (৪০) ও আলমগীর (৪০)। অটোরিকশা ছি’নতাইয়ে বাধা দেওয়ায় আরিফকে তারা হ’ত্যা করেন বলে সিআিইডিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পঠানো হয়।