crimepatrol24
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় বিকাল ৫:২০ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে মধুবৃক্ষ খেজুর গাছের রস সংগ্রহ

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ডিসেম্বর ২, ২০২০ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার গাছিদের মধ্যে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বেশ আগে ভাগেই শেষ হয়ে গেছে খেজুর গাছ তোলা ও ঝোড়া। এ কারণে মহেশপুরের গাছিরা এখন মহা ব্যস্ত। আগাম খেজুর রস সংগ্রহ করতে জেলার ছয়টি উপজেলার গ্রামীণ জনপদের সর্বত্রই মধুবৃক্ষ খেজুর গাছ ঝোড়া শেষ হয়েছে। গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছ থেকে আগে ভাগে রস সংগ্রহের উপযোগী করে গড়ে তুলতে। আর মাত্র কয়েকদিন পর থেকেই গ্রাম বাংলার গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতিক মধু বৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীণ জনপদে শুরু হবে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। মধুবৃক্ষ থেকে গাছিরা সংগ্রহ করবে সুমিষ্ট খেজুর রস ,তাতে তৈরি হবে লোভনীয় নলেন গুড় ও পাটালী। রস জ্বালিয়ে ভিজানো পিঠা ও পায়েস খাওয়ার ধুম পড়বে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ জনপদে। দানা, ঝোলা ও নলেন স্বাদ ও ঘ্রানই আলাদা। গ্রাম বাংলার রসনা তৃপ্তিতে খেজুরের গুড়-পাটালীর কোন বিকল্প নেই। শীত মওসুমে গ্রাম বাংলার এক নতুন আমেজের সৃষ্টি হবে। এক সময় মহেশপুর উপজেলা খেজুরের রস,গুড় ও পাটালি উৎপাদনে জেলায় প্রসিদ্ধ ছিল। অতীতে এখানকার খেজুর রসের যে যশ ছিল এখন তা দিনে দিনে হারাতে বসেছে। গ্রাম বাংলার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক এ খাতে সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় বর্তমানে আর আগের মত রস,গুড় উৎপাদন হয় না। সুঘ্রাণ নলেন গুড় উপজেলার নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রাম ছাড়া পাওয়া যায় না। তা আবার চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। তারপরেও যে রস ,গুড় ও পাটালী তৈরি হয় তা দিয়ে শীত মৌসুমে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়। এ বছরও ব্যতিক্রম হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই শহরের লোকজন গ্রামের গাছিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ গাছিদের নিকট অগ্রীম টাকা তুলে দিচ্ছেন ভাল রস,গুড় ও পাটালী পাওয়ার আশায়। অগ্রীম টাকা পেয়ে অনেক গাছি রস সংগ্রহের উপকরণ কিনছেন।

উপজেলার শংকরহুদা ও বাথানগাছী গ্রামের গাছি আজগার আলী ও করিম বলেন, এবছর একটু আগে ভাগেই গাছ ঝোড়া বা কাটা শেষ করেছি। এখন গাছের রস সংগ্রহ চলছে। তারা আরও বলেন, ভাটার কারণে অনেক খেজুর গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এখন তেমন একটা বেশি খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরাও খেজুর রস সংগ্রহের জন্য তেমন আগ্রহ দেখান না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হসান আলী জানান,এ উপজেলায় প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে খেজুরের চাষ করা হয়। বিভিন্ন চাষে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকি কিন্তু দু:খজনক হলো বরাদ্দ না থাকায় আমরা খেজুর চাষিদের সহযোগিতা করতে পারিনা। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি। মহেশপুরের খেজুরের রস একটি ঐতিহ্য। তাই এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বেশি বেশি খেজুর খাছ রোপনের মাধ্যমে  আমরা চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছি এবং আগামীতে আমরা চেষ্টা করবো খেজুর চাষিদের সহায়তা করতে।

Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল