আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম।।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ঈদের দাওয়াতে শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ায় জামাইকে বেধরক মা*রপিটের অভিযোগ উঠেছে। মা*রপিটে জামাইয়ের মা ও বোন জামাই বাধা দিতে গেলে তারাও মা*রধরের শিকার হয়েছেন।
১১ জুন বুধবার ঈদ উল আযহার চারদিন পর উপজেলার দক্ষিণ কাঁঠালবিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কাঁঠালবিল গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলীর ছেলে সাকোয়াত হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ের প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাই সাকোয়াতকে বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত দেওয়া হয়। পূর্বের পারিবারিক বিরোধের কারণে তিনি দাওয়াতে সাড়া দেননি। এতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।
এরপর সাকোয়াতের শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন সদস্য তার বাড়িতে গিয়ে দাওয়াতে না যাওয়ার কারণ জানতে চান। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তারা সাকোয়াতের ওপর হা*মলা করেন। তাকে এলোপাতাড়ি মা*রতে শুরু করলে তার বোনজামাই এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাকেও মা*রধর করা হয়। সাকোয়াতের মা এগিয়ে আসলে তাকেও হেনস্তা করা হয় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আহত সাকোয়াত হোসেন বলেন, ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। আগেও তারা আমাকে অবমূল্যায়ন করেছে। তাই এবার আমি সেখানে যাইনি। কিন্তু তারা আমার বাড়িতে এসে যা করল, তা অমানবিক। শুধু মা*রধরই নয়, তারা ঘরবাড়ি ভা*ঙচুরও করে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে শ্বশুর আইয়ুব আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ করা হয়নি।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং লজ্জাজনক। আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।’
এদিকে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘জামাইকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মে*রেছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’