আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
ঢাকা থেকে যাত্রী বোঝাই হয়ে দেওয়াগঞ্জ বাজারের অভিমুখে ছুটছিল আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস। ট্রেনের ‘জ’ বগির সংযোগস্থলে বসে যাত্রী হয়েছিলেন দরিদ্র পরিবারের এক গর্ভবতী নারী এবং তার মা।
চলতি পথেই ওই নারীর প্রসব বেদনা ওঠে। তার চিৎকারে ছুটে আসেন ট্রেনের যাত্রী এবং রেলওয়ের কর্মীরা। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় পৃথিবীতে আসে ফুটফুটে কন্যাসন্তান।
রেলওয়ে এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে ট্রেনে চেপেছিলেন গর্ভবতী ওই নারী। তারা দেওয়ানগঞ্জ যাচ্ছিলেন। নারীটির প্রসববেদনা উঠলে যাত্রীরা কাপড় এবং পত্রিকা নিয়ে আড়াল করে প্রসবের ব্যবস্থা করেন। ট্রেনের দায়িত্বরত কর্মীরাও এসময় ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে আসেন। তাদের ট্রেনের আন বোর্ড সেবার ফাস্ট এইডের সকল ওষুধ পত্র এবং যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। এক পর্যায়ে মহিলা যাত্রীদের সহযোগিতায় স্বাভাবিকভাবেই একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।
নবজাতকের গায়ে জড়ানো তোয়ালেসহ সবকিছুই ট্রেনের কর্তব্যরত স্টাফরা ব্যবস্থা করে দেন। মা ও মেয়ে দুজনেই সুস্থ আছেন। তাদেরকে দেওয়ানগঞ্জ স্টেশনে কর্তব্যরত স্টুয়ার্ড মো. কামরুল হাসান নামিয়ে দিয়ে নিরাপদে গন্তব্যে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে এক ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেন প্রসূতি মা নবিয়া বেগম। ট্রেনের সঙ্গে মিলিয়ে শিশুটির নাম রাখা হয় ‘লালমনি’।