ক্রাইম পেট্রোল ডিজিটাল ডেস্ক।।
চট্টগ্রামের বায়েজিদে স্ত্রী ফাতেমা আক্তারকে (৩২) হ*ত্যা করে ১১ টুকরো করার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি মো. সুমনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এম. আর. এম মোজাফ্ফর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ফাতেমা বেগমের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণে। তার স্বামী অভিযুক্ত সুমন পেশায় গাড়িচালক। সিফাত নামে আট বছরের একটি ছেলে সন্তানও আছে তাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকায় পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এক ভবনে স্ত্রীকে হ*ত্যা করে ১১ টুকরো করে সুমন। পরে বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ শুনে বাসায় গেলে সুমন তাকে ঢুকতে বাধা দেয়। সন্দেহ হলে মশিউর জোর করে বাসায় ঢুকে র*ক্তের দাগ ও বাথরুমে র*ক্তমাখা কাপড় দেখতে পান। তখন স্থানীয়দের খবর দিতে গেলে সুমন বাসার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, ‘ঘটনার পর সুমন সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়ায়। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আ*ত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করলেও, তদন্তে পরকীয়ার জেরে হ*ত্যাকাণ্ডের প্রমাণ মেলে।
র্যাব-৭ জানায়, হ*ত্যার আগে সুমন তার একমাত্র সন্তানকে আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়ে দেন। পরে স্ত্রীকে কু*পিয়ে হত্যা করে মরদেহ ১১ টুকরো করেন। মাথা ও দুই হাত ফ্রিজে রেখেছিলেন তিনি। বাকি অংশগুলো ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গায় ও কমোডে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। পরে সিকিউরিটি গার্ড ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ভাই মো. আনোয়ার হোসেন রুবেল বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হ*ত্যা মামলা দায়ের করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানায়, ১০ বছর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। বিদেশ থেকে ফেরার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিলো। ঘটনার রাতে বাসায় কয়েকজন যুবকের আসাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্ত্রীকে হ*ত্যার সিদ্ধান্ত নেন সুমন।