
আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
গরীব না , ভিক্ষা করলেও ঘোড়াই চড়ে ভিক্ষা করব” এমন একটি প্রবাদ সত্য প্রমাণ করেছেন জামালপুরের ফরিদ। ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করে ফেসবুকে ভাইরাল ফরিদ শারীরিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষাবৃত্তি করেন ঘোড়ায় চড়ে। ঘুরে বেড়ান শহর থেকে গ্রাম, রোজগারও ভালো হয়। ২ ডিসেম্বর সোমবার শহরের দয়াময়ী এলাকার ঘোড়ায় চড়ে তার ভিক্ষাবৃত্তির ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে । তারপর থেকে ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন হয়। ফরিদ জানান, ঘোড়া ছাড়া আগে ভিক্ষা করে দিনে তার আয় ছিল তিন’শ থেকে সাড়ে তিন’শত টাকা। তবে বর্তমানে ঘোড়ায় চড়ে সারাদিন ঘুরে তার আয় পাঁচ’শ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিয়ে করেছেন ১০ বছর আগে। সেই সময় থেকে তিনি ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করেন। স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই চলে তার সংসার। এদিকে জামালপুর জেলা প্রশাসন ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে নানা রকম প্রনোদনামূলক কর্মসূচী ঘোষণা করলেও ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হচ্ছে না। যদিও প্রশাসনের বিল বোর্ডে দেখা গেছে ভিক্ষুকমুক্ত জামালপুর। এ নিয়ে অতীতে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের জন্য ছাগল প্রকল্প গ্রহণ করে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে ছাগলও প্রদান করা হয়। ছাগল পেয়ে তারা খুশি, কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ হয় নি। সারক্ষণ রেল স্টেশন,বাস স্টেশন, বাজার, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল গেট, বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন অফিস আদালতে রয়েছে সর্বক্ষণ এদের পদচারণা। তবে অনেকেই মনে করেন, প্রশাসনের একার পক্ষে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করা মোটেই সহজ হবে না। প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা। সেই সাথে জিও- এনজিও উদ্যোগ, সামগ্রিক সামাজিক আন্দোলন ও তাদের উৎপাদনমূখী কর্মে সম্পৃক্তকরণ। তবেই সারা দেশে ভিক্ষাবৃত্তি অধিক নিয়ন্ত্রিত হবে। কারণ নবির শিক্ষা করো নাকো ভিক্ষা। এই হোক অঙ্গীকার।