কামরুল হক চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি।।
ইঞ্জিনিয়ার এমএ মতিন খান কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে প্রথমেই বিসিআইসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি করেন। পরে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের একজন এএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ক্যাডার পরিবর্তন করে প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার এবং ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সফলতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস-২) হিসেবে। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন তাকে আওয়ামী লীগ সরকার ওএসডি করেন। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে (গ্রেড-১) সচিব পদে পদমর্যাদা দেন। বর্তমানে তিনি একজন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব।
এছাড়াও মতিন খাঁন বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস-২ থাকাকালীন যোগ্য ও শিক্ষিত বেকারদের বিনা পয়সায় চাকরিদান, প্রমোশন, কর্মসংস্থান এবং হোমনা-মেঘনা ও তিতাস উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় করেছেন রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন সেবামূলক উন্নয়ন যা এখনও দৃশ্যমান রয়েছে। সর্বশেষ তিনি গ্রাম অঞ্চলে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে হোমনা ও তিতাস উপজেলায় দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য জায়গা ক্রয় করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে রেখেছেন, রয়েছে তিতাস উপজেলাকে পৌরসভা করার চিন্তা। সুতরাং এগুলো বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের জন্য কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসন নিয়ে এমএ মতিন খানের আগ্রহের চেয়ে সাধারণ মানুষেরই বেশি আগ্রহ রয়েছে। সর্বশেষ হোমনা-তিতাস ও মেঘনাবাসীকে স*ন্ত্রাস, চাঁ*দাবাজ এবং মাদকমুক্ত করে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে (হোমনা-তিতাস) কে নিয়ে কুমিল্লা-২ আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় আইনি লড়াই করে অবশেষে তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিএনপি’র চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস-২ উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বে থাকার সুবাদে ইঞ্জিনিয়ার এম.এ. মতিন খান হোমনা, মেঘনা ও তিতাসের উন্নয়নে ৫ বারের সফল মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য এমকে আনোয়ারের কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে দ্রুতগতিতে এসব এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এছাড়াও বিএনপির দুর্দিনে অর্থাৎ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শাসনামলে নেতাকর্মীরা যখন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন এবং অনেকে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে নিজেদের গা বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলেন, ঠিক সেই সময়েও নিজের জীবন বাজি রেখে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাকে রাজপথে দেখা গেছে। তিনি হোমনা,মেঘনা ও তিতাসে ২০২৪ সালে নিজস্ব অর্থায়নে বন্যার্তদের ত্রাণ সামগী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। গত কয়েক বছরে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। ফলে মাঠ পর্যায়ে সাধারণ জনগণের সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকাবাসীর নিকট তিনি একজন সৎ, সজ্জন, সদালাপী, জনদরদী এবং একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবেই পরিচিত। সবকিছু মিলিয়ে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে ইঞ্জিনিয়ার এমএ মতিন খানের বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করেছেন হোমনা-তিতাসের সাধারণ মানুষ।
ইঞ্জিনিয়ার এমএ মতিন খান বলেন,’শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন সৎ লোক ছিলেন এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সৎ এই তিন সৎ লোকের আদর্শে আমি অনুপ্রাণিত। তাই আমি আমাদের নেতা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আপনাদের উৎসাহ- উদ্দীপনা নিয়ে মাঠে কাজ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি বিএনপি থেকে মনোনীত হয়ে সংসদসদস্য নির্বাচিত হলে, ‘যারা হোমনা, মেঘনা ও তিতাসে কমিটি বাণিজ্য, বালু মহাল,চাঁ*দাবাজি, জমি দ*খল করে আসছেন আমি তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করবো ইনশাআল্লাহ। আমি সবসময় জনগণের সেবক হয়ে থাকতে চাই, নেতা হয়ে নয়।’